দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক তরজা, বিতর্ক, আন্দোলনে ইতি টানতে শুক্রবার গুরুনানক জয়ন্তীর দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করবে কেন্দ্র সরকার। তবে এই ঘোষণাতেই কি বাতিল হবে কৃষি আইন? জবাব: না। এই তিনটি আইন বাতিল করতে সংসদীয় প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও জানান, ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলা শীতকালীন সংসদ অধিবেশনে আইন প্রত্যাহারের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশন চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন এই অধিবেশনেই তিন আইন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। সংবিধান অনুসারে নতুন আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংসদের যতটা ভূমিকা থাকে, কোনও আইন প্রত্যাহার বা বাতিল করতে হলেও সংসদকে সেই ভূমিকা পালন করতে হয়। সংবিধানের ২৪৫ ধারায় সংসদের আইন বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে। দেশের যেকোনও আইন বাতিল করতে গেলে সেই সংক্রান্ত প্রস্তাবনা পেশ করতে হয় সংসদে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
বিলটি সংসদে পেশ করার কথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীর। বিল পাশের মতোই আইন প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে সংসদের উভয়কক্ষে এই নিয়ে আলোচনা হবে। তারপর ভোটাভুটি হবে আইন প্রত্যাহার নিয়ে। পরে আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাশ হলে সেই বিল পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে আইনটি বাতিল হয়। একটি ‘রিপিল বিল’-এর মাধ্যেমেই সংশ্লিষ্ট তিনটি আইন বাতিল করা যেতে পারে। একইসঙ্গে, সরকার কেন এই তিনটি আইন প্রত্যাহার করতে চাইছে, তার উদ্দেশ্য এবং কারণ কী, বিবৃতি প্রকাশ করে সরকার পক্ষ তা সকলকে জানাতে পারে।