উপনির্বাচন মিটলেই রাজ্যে পুরভোটের ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। ঘর গোছাতে নেমেছে রাজ্যের শাসকদলও। সেই পুরভোটে তৃণমূলকে জেতানোর জন্য রীতিমতো হুমকি দিলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বললেন, ‘তৃণমূলকে না জেতালে অসুবিধায় পড়তে হবে। দরকারে শক্তি প্রয়োগ করব’।
শুক্রবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সভা করেন হুমায়ুন। সেখানে সরাসরি হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও কথা শুনতে চাই না। বহরমপুর আমাদের চাইই চাই। আমাদের একটা লক্ষ্য় আগামী দিনে। ২৮জনকে না জেতাতে পারলে মিনিমাম টার্গেট আমাদের ২০টি আসন। তার জন্য আঙুল দেখানোর প্রয়োজন হলে কিন্তু আঙুল দেখাব। কোনও ক্ষমা নেই। ভদ্রতা দেখিয়ে যদি না হয় তাহলেস নম্রতা প্রয়োগ করে না হয় তবে শক্তি প্রয়োগ করেও বহরমপুর পুরসভা নির্বাচনে জিতবই’।
তৃণমূল বিধায়কের এহেন মন্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে মুর্শিদাবাদে। শাসকদলের বিরুদ্ধে চমকানোর অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল চমকাচ্ছে। যারা বোম পিস্তল নিয়ে রাস্তায় নামে তারা এসব কথা বলে। বহরমপুর শহরে খুন সন্ত্রাস করে জিততে চাইছে। এখানে ২৮টি আসন পেতে গেলে তৃণমূলকে রক্তগঙ্গা বইয়ে জিততে হবে। জনমত তাদর পাশে নেই। জনমত বিজেপির পাশে রয়েছে’।
হুমায়ুনের মন্তব্যকে অসাংবিধানিক, অগনতান্ত্রিক আখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস। বহরমপুর জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘তৃণমূলের দলীয় সভায় বহরমপুরবাসীকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। ২৮টি আসনে না জেতানো হলে বহরমপুরবাসী অসুবিধায় পড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্য অসাংবিধানিক, অগনতান্ত্রিক।’