মনের জোর জুগিয়েচেন “হনুমান ভক্তি ও শিবের আরাধনা”, এবার ঈশ্বর চাইলে হতে পারেন সোনায় সোহাগাও

টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতের ঝুলিতে প্রথম পদক নিয়ে এলেন মনিপুরের মেইতেই সম্প্রদায়ের মেয়ে মীরাবাঈ চানু। স্বভাবতই আনন্দের বন্যা বয়ে যায় সারা ভারত জুড়ে এবং বিশেষ করে চানুর নিজের রাজ্য মনিপুরে। এদিকে অলম্পিক্স ভিলেজ থেকে খবর এমন এক খবর এসেছে যা নিয়ে আসতে পারে আরো বড়ো সুসংবাদ।
চীনের ঝিহুই হোউ যিনি ৪৯ কেজি বিভাগে চানুকে হারিয়ে সোনার পদক পান, এবার তাঁকে ডোপ পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছে। যদি চীনা প্রতিদ্বন্দী মাদক পরীক্ষায় উত্তীর্ন না হন তাহলে সোনার পদক পাবেন চানু।
মীরাবাঈ চানু মনিপুরের মেইতেই জনগোষ্ঠীর মেয়ে এবং বরাবরই ‘ধর্মপ্রাণা’ বলে পরিচিতি। মেইতেইরা নিজেদের শ্রীকৃষ্ণের বংশধর বলে মনে করেন ও কৃষ্ণের আরাধনা করেন। মনিপুরের অনেক জনগোষ্ঠীর লোক খ্রিষ্টানদের দ্বারা প্রলোভনে পড়লেও ‘ক্ষত্রিয়’ মেইতেইরা কট্টর হিন্দু বলে পরিচিত। ধর্মান্তরের প্রলোভন তাঁদের টলাতে পারে নি।
ধর্মান্তকরণ নিয়ে খ্রিষ্টান নাগাদের সাথে সংখ্যাগরিষ্ট মেইতেইদের সংঘাত। শোনা গেছে কৃষ্ণভক্ত বাবা মা জন্মের পর চানুর নাম কৃষ্ণগতপ্রাণা মীরাবাঈয়ের নামে রাখেন। শুধু তাই নয় ছোট বয়স থেকে চানু শিব ও হনুমান ভক্ত। অলিম্পিক্সে যাওয়ার সময় ও নাকি তিনি হনুমান চালিসা সঙ্গে নিয়ে গেছেন এবং নিয়মিত পাঠ ও করেছেন। আসলে রিও অলিম্পিক্সের ব্যর্থতার এবং কাঁধের সমস্যার পর তিনি হনুমান ভক্তিতে খুব মন দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.