সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মুখ খুললেন দিল্লীর জামা মসজিদের শাহী ইমাম। প্রতিবাদ করা নিশ্চই গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তবে সংযত থাকার আবেদন ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারীর। প্রকারান্তরে বুখারি মেনে নেন যে খানিকটা গুজবে পরে বা ভুল বুঝেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন এদেশের সংখ্যালঘু মানুষেরা। সিএএ ও ন্যাশনাল রেজিস্টারের মধ্যে বিস্তর ফারাক, বলেন বুখারি। সিএএ নিয়ে অহেতুক আশঙ্কার কোনো মানে নেই।
এই আইনের মাধ্যমে এদেশে যে সকল সংখ্যালঘু মুসলিমরা থাকেন তাদের এদেশ থেকে বিতাড়নের কোনো প্রশ্ন নেই। তিনি বলেন, সিএএ তে বরং বাইরের দেশের শরণার্থীদের অধিকার দেওয়া হবে যা কোনো রাজনৈতিক দল দেয়নি।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু মানুষদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই এই আইন তা সুস্পষ্ট করেন বুখারি। এমনকী ২০১৪ সালের আগে সংখ্যালঘু মুসলিমরাও এদেশে ১১ বছর পাকাপাকি বসবাসের পর ভারতের স্থায়ী নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবে, বলেন বুখারি।
যতই আইনের সঠিক ব্যাখ্যা করুক না কেন, শাহী ইমামদের কথাতেও কোনোমতেই কর্ণপাত করেনি প্রতিবাদীরা। বুখারীর শান্ত থাকার আবেদনে যদিও কোনো কাজ হয়নি। বুধবার দিল্লির রাস্তায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধের সাক্ষী ছিল গোটা দেশ। অন্য দিকে এই আইনের বৈধতা নিয়ে শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলা দায়ের করে তা খুঁটিয়ে দেখার প্রক্রিয়া চালু হলেও কোনোমতেই এর উপর কোনো স্থগিতাদেশ দিতে চাননি বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চ।