রাস্তা বেহাল। জল কাদায় মাখামাখি অবস্থা। মেরামত হয়নি দীর্ঘদিন। মধ্যপ্রদেশে মন্ত্রীকে দেখেই ক্ষোভ উগরে দেন যুবক। আর সে সব শুনে যুবকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজে হাতে তাঁর পা ধুয়ে দিলেন এনার্জি মিনিস্টার প্রধুমান সিং তোমর।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘রাস্তার খারাপ পরিস্থিতির জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। রাস্তা সারিয়ে দেওয়ার কথা দিচ্ছি। আসলে নিকাশির পাইপের জন্য রাস্তায় খোঁড়খুড়ি হয়েছিল’। তবে এভাবে পরিষেবার ঘাটতির জন্য ক্ষমা চেয়ে যুবকের পা ধুইয়ে দেওয়ার ঘটনা যথেষ্ট তাপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সূত্রের খবর, মাঝেমধ্যেই মন্ত্রী এলাকার রাস্তার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বের হয়েছিলেন। স্থানীয় একটি মানসিক হাসপাতালের কাছে মন্ত্রী দেখেন এক যুবক কাদামাখা পায়ে আসছে। এটা দেখে বিষয়টি বুঝতে পারেন তিনি। এরপরই ওই যুবক তাঁকে রাস্তার খারাপ পরিস্থিতির কথা জানান। তারপর মন্ত্রী জল নিয়ে এসে ওই যুবকের পা ধুইয়ে দেন।
এই ঘটনা নজর কেড়েছে অনেকেরই। এভাবে সাধারণ মানুষের কাছে মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। তবে কাদাতে মন্ত্রীর গাড়িও আটকে গিয়েছিল। তিনি নিজে গাড়ি থেকে নেমে ঠেলা শুরু করেন।
অনেকে আবার এই ঘটনায় বাংলার সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের তুলনা করতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি বাংলায় দিদির দূত কর্মসূচিতে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। বীরভূমের গ্রামে গিয়ে সাংসদ শতাব্দী রায় গ্রামের বাড়িতে দুপুরের খাবারের সামনে ছবি তুলে উঠে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে সাগর সাগর বিশ্বাসকে সপাটে চড় কষিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শিবম রায়। অভিযোগ এমনটাই এনিয়ে সমালোচনার ঝড় রাজ্যজুড়ে।