ফের লাভ জিহাদের মর্মান্তিক পরিণতি। ১৮ বছর বয়সী মেধাবী ছাত্রী সোনম শুক্লাকে খুন করল মহম্মদ আনসারি নামের যুবক। নিকাশি নালা থেকে উদ্ধার হয়েছে সোনমের বস্তাবন্দী লাশ। আনসারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গোরেগাঁও পূর্ব এলাকার প্রেমনগরের বাসিন্দা সোনম। নিট-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। প্রেম ছিল ভারসোভার যুবক আনসারির সঙ্গে। তবে বাড়িতে প্রেমের কথা জানত না।
২৫ এপ্রিল বিকালে বাড়ি থেকে টিউশন পড়তে যাবে বলে বেরয় সোনম। কিন্তু মেয়ের ফিরতে রাত হচ্ছে দেখে তাঁকে ফোন করেন তাঁর বাবা। সোনম জানায় যে সে টিউশন থেকে ফিরে এক বান্ধবীর বাড়িতে বসেছে। একটু পরেই বাড়ি ফিরে যাবে। কিন্তু রাত ১১টা নাগাদ সোনম বাড়ি ফিরছে না দেখে ফের তাঁর মোবাইলে ফোন করেন তাঁর বাবা। তখন সোনমের মোবাইল বন্ধ ছিল। তারপরই সোনমের ছবি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁর পিতা।
পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরই সক্রিয় হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি টিম আশেপাশের এলাকায় খোঁজ শুরু করে। কিন্তু সোনমের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরের দিন সকালে ভারসোভা পুলিশ নিকাশি নালা থেকে একটি বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। সেই খবর পুলিশ মারফৎ সোনমের পিতা-মাতার কাছে পৌঁছে যায়। তাঁরা হাসপাতালের মর্গে গিয়ে সোনমকে শনাক্ত করেন।
পুলিশ তদন্তে নেমে সোনমের বান্ধবীদের কাছ থেকে পাওয়া সূত্রের ভিত্তিতে মহম্মদ আনসারিকে আটক করে। লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে সে জানায় যে সোনমের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন সোনম টিউশন পড়তে না গিয়ে তাঁর বাড়ি গিয়েছিল। পরে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখন রাগের বশে ইলেকট্রিক তাঁর গলায় পেঁচিয়ে সোনমকে খুন করে। তারপর গভীর রাতে লাশ বস্তায় ভরে ফেলে দেয় নিকাশি নালায়।