আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনীতি তুঙ্গে। আর এর সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে যোগীর রাজ্য উত্তর প্রদেশে। উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথকে হারানোর জন্য বুয়া- মায়াবতী আর ভাতিজা- অখিলেশ যাদব মহাজোট করেছে। আরেকদিকে বিজেপি আর কংগ্রেস জোট ছাড়াই উত্তর প্রদেশে লড়ছে।
মহাজোট আর কংগ্রেসের লক্ষ্য একটাই যে, তাঁরা যেভাবে হোক যোগী আদিত্যনাথকে হারাবেই। দুদিন আগে উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো সাহারানপুরে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। উনি বিজেপির বিরুদ্ধে মুসলিম দের এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সব মুসলিমদের মহাজোটে ভোট দেওয়ার আবেদন করেন।
ওনার এই মন্তব্যের পর নির্বাচন কমিশন ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছে। কিন্তু ওনার এই মন্তব্যের পর এখনো বিজেপি বিরোধী এবং স্বঘোষিত ধর্মনিরপেক্ষ দল গুলোর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সরাসরি নির্বাচনি প্রচারে এক সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে ভোট চাওয়া নির্বাচনী বিঁধি লঙ্ঘন। আর সেই মর্মেই নির্বাচন কমিশন ওনার এই মন্তব্য খতিয়ে দেখছে।
সবথেকে অবাক করা ঘটনা হল, এই নিয়ে বিজেপি বিরোধী দল কোন মন্তব্যই করেনি। কিন্তু এটা যদি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অথবা দেশের অন্য কোন বিজেপি নেতা মঞ্চে উঠে সরাসরি হিন্দুদের অন্য দল গুলোকে ভোট না দিয়ে, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলত। তাহলে এতক্ষণে দেশ অসহিশ্নু হয়ে যেত, অনেকেই তাঁদের পুরস্কারও ফেরত দিয়ে দিতেন।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মায়াবতীর এই মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে বলেন, ‘মায়াবতী ভোটে জেতার জন্য সব মুসলিমদের এক হয়ে মহাজোটকে ভোট দিতে বলেছেন। আর আমি এখানে এসেছি বাকিদের ভোট নিতে।”
উল্লেখনীয় বিজেপি বিরোধী দল গুলো বরাবরই বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলে, ভোটের জন্য হিন্দু মুসলিম দের মধ্যে লড়াই বাঁধানোর অভিযোগ আনে। কিন্তু শেষে দেখা যায়, বিজেপি যতটা না প্রচারে গিয়ে হিন্দু অথবা মুসলিম নিয়ে কথা বলে। তাঁর থেকে বেশি হিন্দু-মুসলিম নিয়ে মন্তব্য করে বিজেপি বিরোধী দলগুলো। এরপরেও তাঁরা নিজেদের অসাম্প্রদায়িক দল বলে পরিচয় দেয়!