মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ ক্রমশ বাড়ছিল। শেষমেশ মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন নভজ্যোত সুং সিধু। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর কাছে রবিবারই পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই চিঠির কপি তিনি ট্যুইটারেও পোস্ট করেছেন। গত ১০ জুন ওই চিঠি দিয়েছেন তিনি। তাঁর হঠাৎ করে ইস্তফা নিয়ে রাজনৈতিকমহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের মতে, সিধু কি ফের একবার বিজেপিতে ফিরে যাবেন। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার। এমনকি বিজেপির তরফেও তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন পঞ্জাবের মন্ত্রিসভা রদবদল হয়। সেখানে নভজ্যোত সিং সিধুর দফতর বদল হয়। পর্যটন, সংস্কৃতি মন্ত্রকের বদলে তাঁকে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক। এরপর নতুন দফতরে আর দায়িত্বভার গ্রহণ করেননি তিনি। তারপরই দিলেন ইস্তফা। এমনকি গত ৮ জুন মুখ্যমন্ত্রীর এক বিশেষ কমিটি থেকেই সরে যান নিজে।
কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং সিধুর সমালোচনা করেন। লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির দায় চাপান সিধুর উপর। তিনি বলেন সিধু তাঁর নিজের দফতরের কাজকর্ম ঠিকমত সামলাননি বলেই পাঞ্জাবের বেশ কিছু অঞ্চলে খারাপ ফল করেছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, সিধুর কাজকর্ম নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠতে থাকে। শেষমেশ প্রবল চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন সিধু।