সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা এম ফিল ও ডক্টরেট করতে গেলে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ইউপিএ সরকার মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ চালু করেছিল। সেই স্কলারশিপ বন্ধ করে দিল মোদী সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য একাধিক প্রকল্পের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ চালিয়ে যাওয়ার কোনও দরকার নেই।
২০০৫ সালে ভারতে মুসলিম পড়ুয়াদের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য সাচার কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছিল, শিক্ষাক্ষেত্রে মুসলিম পড়ুয়াদের অবস্থা তপশিলি জাতির থেকেও খারাপ। এই কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ মেনেই তৎকালীন ইউপিএ সরকার মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ চালু করে। মুসলিম ছাড়াও খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, পারসি, শিখ পড়ুয়াদের জন্য এই স্কলারশিপ দেওয়া হত। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা এম ফিল বা পিএইচডি করতে গেলে এই স্কলারশিপ পেত।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন, ‘উচ্চশিক্ষার সময়ে আর্থিক সাহায্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল স্কলারশিপকে সেই প্রকল্পগুলির অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়াই যায়। তাছাড়া সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক প্রকল্প রয়েছে। তাই ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকেই মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল স্কলারশিপ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে’। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, গত আট বছরে সাতশো কোটিরও বেশি টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে।