নারদা-তদন্তে ইতিমধ্যে নড়েচড়ে বসেছে। ইতিমধ্যে মির্জাকে গ্রেফতার করেছে। এরপরেই মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদও করে। এখানেই শেষ নয়, মির্জাকে সঙ্গে নিয়ে মুকুল রায়ের বাড়িতে হানাও দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এরই মধ্যে নারদা কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলকে তলব করল সিবিআই। নারদা তদন্তের আরও গভীরে পৌঁছতে তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পুজোর মধ্যেই সিবিআই দফতরে হানা দিতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রে খবর, ৭ তারিখ থেকে ৯ তারিখের মধ্যেই নারদ কর্তাকে সিবিআই দফতরে হাজিরার জন্যে বলা হয়েছে। তবে পুজোর মধ্যেই সিবিআইয়ের মুখোমুখি ম্যাথু স্যামুয়েলের হওয়া নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে।
সূত্রের খবর, পুজোর সময় তিনি ব্যস্ত থাকবেন বলে পালটা চিঠিতে ইতিমধ্যে সিবিআই আধিকারিকদের ম্যাথু স্যামুয়েল জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে পুজোর পরেই হয়তো সিবিআই দফতরে যেতে পারে ম্যাথু।
জানা গিয়েছে, নারদায় ধৃত ম্যাথুকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জেরায় বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। সেগুলি খতিয়ে দেখার জন্যেই ম্যাথুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, নারদকাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে। ১৫ তারিখ পর্যন্ত ধৃত মির্জার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। মিডিয়ায় প্রকাশিত ফুটেজ ছাড়াও ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে স্টিং অপারেশনের আরও কয়েকটি ভিডিয়ো পান গোয়েন্দারা। সেই ফুটেজেই দেখা যায়, মির্জা ফোনে তাঁর মাধ্যমে কারও সঙ্গে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা লেনদেনের কথা বলছেন। এই ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা কে কাকে দিচ্ছিলেন, তারই উত্তর খুঁজছে সিবিআই।