গত জুলাইয়ে ইউএপিএ সংশোধন করে বলা হয়েছিল, এখন থেকে কেবল সংগঠন নয়, কোনও ব্যক্তিকেও সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করা যাবে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি ইচ্ছা করলে রাজ্য পুলিশের সম্মতি ছাড়াই তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। ইউএপিএ সংশোধনের পর বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার পুলওয়ামা হামলার প্রধান চক্রী মৌলানা মাসুদ আজহার, লস্কর-ই-তৈবার হাফিজ মহম্মদ সৈয়দ ও জাকিয়ুর রহমান লাকভি এবং মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমকে ব্যক্তিগতভাবে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করল।
চারজনের মধ্যে আজহার, সৈয়দ ও লাকভি পাকিস্তানের নাগরিক। দাউদ ভারতের নাগরিক। সে এখন পাকিস্তানে আছে। আজহারের সংগঠন জৈশ ই মহম্মদ ২০০১ সালে ভারতের সংসদ ভবনে হানা দেয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে জৈশের আক্রমণে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। গত ১ মে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ মাসুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে।
১৯৯৪ সালে কাশ্মীরের অনন্তনাগ থেকে আজহার গ্রেফতার হন। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে হাইজ্যাকাররা ভারতের একটি বিমান ছিনতাই করে মাসুদ সহ তিনজনকে মুক্ত করে। হাফিজ মহম্মদ সৈয়দ ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার প্রধান চক্রী। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর লস্করের ১০ জন সদস্য মুম্বইয়ের ১২ টি জায়গায় বোমা ও বন্দুক নিয়ে হামলা করে। ১৭৪ জন মারা যান। ৩০০ জন আহত হন।
সৈয়দের সংগঠন লস্কর ও জামাই উদ দাওয়াকে আগেই ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় ওই সংগঠনটি নিষিদ্ধ। দাউদ ইব্রাহিম ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণে প্রধান অভিযুক্ত।
দেশের বাণিজ্য নগরীতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ৩০০ জন মারা গিয়েছিলেন। দাউদ সারা বিশ্বে ১০ জন মোস্ট ওয়ান্টেড পার্সনের মধ্যে অন্যতম। ২০১০ সালে তাকে গ্লোবাল টেররিস্ট বলে ঘোষণা করা হয়েছে।