‘মন্দির ভেঙে বানানো মসজিদ গোলামির প্রতীক’, ৮৫ বছরের পুরোনো গান্ধীজির লেখা ভাইরাল

 ‘মন্দির ভেঙে বানানো মসজিদ গোলামির প্রতীক’। দেশে চলা মন্দির-মসজিদ বিবাদের মাঝে ৮৫ বছরের পুরোনো গান্ধীজির এই লেখা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দের ২৭ জুলাই ‘নবজীবন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় গান্ধীর এই লেখাটি। ওই লেখায় গান্ধীজি শ্রীরাম গোপাল শরদ নামে এক ব্যক্তির চিঠির উত্তর দিয়েছেন। সেখানেই গান্ধী লিখেছেন, ‘মন্দির ভেঙে বানানো মসজিদ গোলামির প্রতীক’।

মোঘলরা বহু হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছে উল্লেখ করে গান্ধীজি চিঠিতে লিখেছেন, ‘যে কোনো উপাসনা গৃহ জোর করে দখল করা জঘন্য অপরাধ। মুঘল শাসনকালে ধর্মীয় ধর্মান্ধতার কারণে মুঘলরা অনেক হিন্দু ধর্মীয় স্থান জোর করে দখল করেছিল, যেগুলি হিন্দুদের কাছে পবিত্র ধর্মস্থান। এদের মধ্যে অনেকগুলিতে লুটপাট চালানো হয়েছিল, আবার অনেকগুলিকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল’।

গান্ধীজি আরও লেখেন, ‛ধার্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখা যায় যে মুসলিম কখনও মেনে নিতে পারবে যে হিন্দুরা ওই মসজিদে লুটপাট করুক। একইভাবে হিন্দুরাও কখনও মেনে নিতে পারবে না যে মুসলিমরা ওই মন্দিরে লুটপাট করুক, যেখানে তাঁরা রাম, কৃষ্ণ কিংবা বিষ্ণুর উপাসনা করে। যেখানেই এমন ঘটনা হয়েছে, সেগুলি গোলামির প্রতীক’এগুলি আপসের মাধ্যমে একে অন্যকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে গান্ধী লিখেছেন, ‘হিন্দু ও মুসলিমদের আপসের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। যেসব মন্দির দখল করে মসজিদ বানানো হয়েছে, তা হিন্দুদের ফিরিয়ে দিতে হবে। একইভাবে যেসব মসজিদ দখল করা হয়েছে, সেগুলি মুসলিমদের ফিরিয়ে দিতে হবে। এর ফলে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে একতা বাড়বে, যা ভারতের ক্ষেত্রে মঙ্গলকর।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.