‘মাওয়ের সাংস্কৃতিক বিপ্লব বড় ভুল, হিংসা-রক্তপাতের জন্য উনিই দায়ী’, প্লেনামে বলল চিন

মার্ক্সবাদ আর সর্বশক্তিমান থাকল না। মাও জে দংও নন। বরং মাওয়ের সাংস্কৃতিক বিপ্লব যে বড় ভুল ছিল, সেটা এবার খাতায় কলমে স্বীকার করে নিল চিন। হ্যাঁ, দলের ষষ্ঠ প্লেনামে এমনই বিস্ময়কর প্রস্তাবে সিলমোহর দিল চিনা কমিউনিস্ট পার্টি।

ছয়ের দশকের শেষে পুঁজিবাদের ‘কালো হাত’ গুঁড়িয়ে দিতে ‘বিপ্লব’ শুরু করেন মাও জে দং। সঙ্গে প্রতিবিপ্লবী অর্থাৎ পার্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যারা, সেইসব শ্রেণীশত্রুকে ‘খতমে’ র ডাক দেন। সঙ্গে চিনা তরুণদের সমাজকে বিশুদ্ধ করার দায়িত্ব দেন তিনি। এটাকে রাজনৈতিক এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমাজে সচেতনতা প্রচারের নামে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নাম দেন মাও। চিনে শুরু হয় অশান্তি, রক্তপাত এবং শ্রেণীগত লড়াই।

এবার সেই মাও-এর শাসনাধীন চিনের সেই ‘কালো অধ্যায়’ কেই আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার ডাক দিল জিনপিংয়ের চিন। হংকং পোস্ট সূত্রে খবর, চলতি বছর সিপিসি’ র ষষ্ঠ প্লেনামে এক বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, মাওয়ের সাংস্কৃতিক বিপ্লব অন্যতম বড় ভুল ছিল। দশ বছরের ডামাডোলের জন্য মাওকেই দায়ী করেছে কমিউনিস্ট পার্টি।

চিনা সাম্যবাদীদের প্রাণপুরুষ মাওয়ের ঐতিহাসিক পদক্ষেপকে প্লেনামে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ বলে দেগে দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মাও-কে ‘সুপ্রিম লিডার’ বা অবিসংবাদী নেতা রূপে তুলে ধরে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বিখ্যাত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছিল ১৯৪৫ সালে আর সাংস্কৃতিক বিপ্লবের হিংসাদীর্ণ দিনগুলোর পরে মাও তাঁর নতুন রাস্তায় হাঁটার ঘোষণাপত্রকে পাস করিয়ে নিয়েছিলেন ১৯৮১ সালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.