দিল্লির (Delhi) হিংসার বিশেষ তদন্তকারী দল জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বহু রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের। পুলিশ এর সপক্ষে সুস্পষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করে চলেছে বলে সূত্রের খবর। এখনও অবধি তদন্তে জানা গেছে যে একটি রাজনৈতিক দলের সিটিং এমপি এবং পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India) (পিএফআই) এর সভাপতি মোহাম্মদ পারভেজ আহমেদের (Mohammad Parvez Ahmed) মধ্যে বেশ কয়েকবার কথোপকথন হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে, উক্ত এমপির ব্যক্তিগত সভা ছাড়াও ফোন কল এবং হোয়াটসঅ্যাপ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সূত্র বলছে যে দিল্লির হিংসার আগে এবং হিংসার সময়ও ঐ ব্যক্তিদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। এ ছাড়া একটি জাতীয় দলের প্রাক্তন সংসদ সদস্য এবং আরও অনেক নেতার নাম মোহাম্মদ পারভেজ আহমেদের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে ।
আগামী দিনগুলিতে, দিল্লি (Delhi) পুলিশ এ জাতীয় সব নেতার কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে । বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি (Delhi) পুলিশের স্পেশাল সেল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India) (পিএফআই) এর সভাপতি মোহাম্মদ পারভেজ আহমেদ এবং সেক্রেটারি ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করেছে। উভয়কে গ্রেফতারের মূল কারণ শাহীনবাগে চলমান বিক্ষোভকে উস্কে দিতে এবং বিভিন্ন ধরণের সহায়তা প্রদান এবং ঘৃণা উসকে দেওয়ার মতো বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে যে শাহীনবাগের বিক্ষোভকারীদের পিএফআইয়ের মাধ্যমে তহবিল সরবরাহ করা হয়েছিল । এই দুই আসামির আগে পুলিশ পিএফআইয়ের আরেক সদস্য দানিশ আলীকেও গ্রেপ্তার করে ।
শাহীনবাগের বিক্ষোভ চলাকালীন খাবার ও অর্থ বিতরণে আলির দায়িত্ব ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বর্তমান আপ সাংসদ এবং কংগ্রেস পার্টির প্রাক্তন সংসদ সদস্য এবং আরও অনেক নেতার নাম পিএফআইয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত হিসেবে জানা গেছে। সূত্রমতে, শাহীনবাগের বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে ৭৩ টি ব্যাংক শাখায় ১২০.৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পিএফআই দ্বারা পরিচালিত হয়। বেশিরভাগ অ্যাকাউন্টে নগদ জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে জমা দেওয়া নগদের এক-তৃতীয়াংশ পিএফআইয়ের সদর দপ্তর শাহীন বাগে রাখা হয়েছিল। এছাড়াও, পিএফআইয়ের মোহাম্মদ পারভেজ আহমেদ ‘ভীম আর্মি টপ হান্ড্রেড’ এর মতো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন ।