বর্তমান তালিবান (Taliban) শাসকের মধ্যে অনেক তালিবান কর্তা ব্যক্তিরাই নিজেদের নাম ভাঁড়িয়ে , গোপনে ও ছদ্মবেশে ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করেছে।
সূত্রের খবর , এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন বর্তমান তালিবান সরকারের মুখপত্র আহমেদ ওয়ালি হাকমল Ahmedh Wali Haqmal)।
এই হাকমল মানব সম্পদ (Human Resource বা H R) নিয়ে পোস্ট গ্রাডুয়েশন (Post Graduation) করেছেন আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh Muslim University বা ল A M U থেকে , তাও আবার জলপানি বা স্কলারশিপ (scholarship) নিয়ে।
এই তালিকায় আছে আরো অনেকে , যার মধ্যে আছে তালিবানদের অন্যতম প্রধান সুইসাইড বোমা স্পেশালিস্ট (Suicide bomb specialist) মহম্মদ সেলিম সাদ (Mohammed Selim Saad)।
এই সেলিম সাদের একাউন্টে অন্তত হাজার দুয়েক খুনের ঘটনা আছে।
সূত্রের খবর , তালিবানদের সবচেয়ে ভয়ানক রেজিমেন্ট আল বদ্রি র (Al Badri) অনেক সদস্যই আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh Muslim University বা A M U) , জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (Jawharlal Nehru University বা J N U) সহ ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় ও বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করেছে নাম ভাঁড়িয়ে ও সম্পূর্ণ ছদ্মবেশে।
জিন্স , স্মার্ট টি শার্ট , ক্লিন শেভ সুন্দর ‘হ্যান্ডসম’ (handsome) পুরুষ সেজে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে তারা পড়াশুনা করেছে এবং ভারত থেকে গ্রাজুয়েট (graduate) , পোস্ট গ্রাজুয়েট(post graduate) , এমনকি কেউ কেউ পি এইচ ডি (PhD) ডিগ্রীও নিয়েছে।
দেশের বিভিন্ন মুসলিম মহল্লায় এদের থাকা খাওয়ার সুবন্দোবস্ত করে দিয়েছে ইসলামের প্রতি কর্তব্যপরায়ণ স্থানীয় মুসলিমরাই। এই সবের নেপথ্যে যে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আই এস আই (I S I) আছে বা ছিল , এটা বলাই বাহুল্য।
তালিবানদের মুখপত্র আহমেদ হাকমল (Ahmedh Haqmal) জানান , ইসলামের প্রতি কর্তব্য ও দায়বদ্ধতার খাতিরে আফগানিস্তানের (Afganistan) কান্দাহার বিশ্ববিদ্যালয় (Kandahar University) এর প্রায় সব অধ্যাপকই তালিবান বাহিনীতে যোগ দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় এর রোজকার পড়াশুনার পর এই অধ্যাপকরা নিতেন আর্মস ট্রেনিং। AK-47 এসল্ট রাইফেল , মেশিনগান , গ্রেনেড লঞ্চার , রকেট লঞ্চার , আন্টি ট্যাংক মাইন , মর্টার ইত্যাদি র ট্রেনিং নিয়েছেন কান্দাহার বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপকেরা বলে জানান হাকমল।