কোভিড-১৯ ভাইরাসে প্রকোপে লণ্ডভণ্ড সমগ্র বিশ্ব। মৃত্যু ও আক্রান্তের নিরিখে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আমেরিকায়। তারপরই ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। ব্রাজিলেই কোভিড-১৯ ভাইরাসে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আর ব্রাজিলের সমতুল্য উত্তর প্রদেশে করোনা-প্রকোপে প্রায় ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ অনেকেরই প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, উত্তর প্রদেশ ২৩-২৪ কোটি জনসংখ্যার রাজ্য, জনগণের সমর্থনে সমস্ত আশঙ্কা কাটিয়ে উঠেছে। ব্রাজিলের মতো একটি দেশ, যে দেশের জনসংখ্যা উত্তর প্রদেশের প্রায় সমান সেই দেশে করোনায় প্রায় ৬৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, উত্তর প্রদেশের প্রায় ৮০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, অর্থাৎ অনেকেরই প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সিং মারফত উত্তর প্রদেশের বারাণসীর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের (এনজিও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, এটা শ্রাবণ মাস, ‘এই সময়ে বারাণসীর মানুষের সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে ভগবান ভোলেনাথের দর্শন করছি। ভগবান ভোলেনাথের এটাই আশীর্বাদ যে, কোভিড-১৯ সঙ্কটের সময়েও আমাদের বারাণসী উৎসাহে ভরপুর।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড-১৯ সঙ্কটের সময় যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা যে শুধুমাত্র দায়িত্ব পালন করেছেন তা নয়, আশঙ্কাও ছিল, এমন পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা কাজের নতুন ধরণ।
এনজিও প্রতিনিধিদের উৎসাহ জুগিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০০ বছর আগেও, একই রকম মহামারি দেখা গিয়েছিল, বলা হয়ে থাকে সেই সময় ভারতের জনসংখ্যা এত বিশাল ছিল না। সেই সময়ে ভারতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছিল। তাই এই সময় গোটা বিশ্ব ভারতের জন্য উদ্বিগ্ন ছিল, বিশেষজ্ঞরাও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন এবার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে, কিন্তু আসলে কী হয়েছে?’
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, উত্তর প্রদেশ ২৩-২৪ কোটি জনসংখ্যার রাজ্য, জনগণের সমর্থনে সমস্ত আশঙ্কা কাটিয়ে উঠেছে। ব্রাজিলের মতো একটি দেশ, যে দেশের জনসংখ্যা উত্তর প্রদেশের প্রায় সমান সেই দেশে করোনায় প্রায় ৬৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, উত্তর প্রদেশের প্রায় ৮০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, অর্থাৎ অনেকেরই প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।