ভয়াবহ অবস্থা বাংলার নদী ভাঙনের, চোখের সামনে নদী গর্ভে আস্ত মন্দির

ধীরে ধীরে জল কমতে শুরু করেছে। আর তা কমতে নদী বাঁধে ব্যাপকভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে। আর যার জেরে মানিকচকের শঙ্করটোলা বাঁধের ওপরে থাকা মন্দির তলিয়ে গেল। এমননিতে গোটা বছর ধরে ভাঙনের ফলে তীব্র আতঙ্কে থাকেন এলাকার মানুষ। তবে এভাবে একেবারে পুরোপুরি আস্ত একটা মন্দির নদীর গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার ফলে গ্রামের মানুষের ফলে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মানিকচকের বিডিও। খবর দেওয়া হয় সেচ দফতরে। প্রশাসনিক স্তরে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা এসে পুরো ঘটনা সরজমিনে খতিয়ে দেখেন।

সম্প্রতি বন্যার কারণে মালদহ জেলার তিনটি নদীর অবস্থা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। এখনও পর্যন্ত অনেকেই বন্যার আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এরই মধ্যে ফুলহার নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। যার ফলে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। শুক্রবার মানিকচক থানার শঙ্করটোলা বাঁধের ওপরে থাকা একটি বিশাল মন্দির তলিয়ে যায়। আর এই নদী ভাঙনের ফলে ব্যাপক আতঙ্কে গ্রামবাসীরা। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, বন্যার জল নামছে বেশ কিছুদিন ধরেই নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। যার ফলে বাঁধের একাংশ ফাটল দেখা দিয়েছিল। সমস্ত বিষয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। অথচ প্রশাসন নিশ্চুপ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষজনের।

একই সঙ্গে এলাকার মানুষ আরও জানিয়েছেন, ভয়ঙ্কর এই নদী ভাঙনের ফলে আস্ত এই মন্দিরটি তলিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কে রয়েছি। একই সঙ্গে এলাকার মানুষের দাবি, যেভাবে ভাঙ্গন হচ্ছে তাতে যে কোনও সময় গ্রামের মধ্যে জল ঢুকে যেতে পারে। প্রথম থেকে ব্যবস্থা নিলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না বলেও দাবি তাঁদের।

অন্যদিকে বিডিও সুরজিৎ পন্ডিত জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। ওই জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের। তারা আসলেই কি করা যায় আমরা দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.