প্রতিনিয়ত চেহারা বদলাচ্ছে করোনা ভাইরাস। একেক দেশে একেক রকম রূপ ধারণ করছে। এরকমই এক নতুন স্ট্রেনের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। ফিলিপিন্সে যে ধরনের ভাইরাসের জেরে সংক্রমণ ব্যাওক আকার ধারণ করেছে, এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তেমনই এক ভাইরাসের সন্ধান মিলল।
করোনা ভাইরাসের এই ধরনের স্ট্রেনকে বলা হচ্ছে D614G. মালয়েশিয়ায় বেশ কয়েকজনের শরীরে এই ধরনের ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। এরকম ৪৫ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। এদের মধ্যে কেউ একজন ভারত থেকে গিয়েছে, আর তার থেকেই সংক্রমণের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। ওই ভারতীয় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙাতেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
আসলে ভাইরাসের মিউটেশন হয়ে নানা ধরনের রূপ নেয়, এটা তার মধ্যেই একটা। ফিলিপোন্সের স্বাস্থ্য বিভাগের এক সচিব রোজারিও ভার্গিয়ার বলেন, এই ধরনের ভাইরাসের সংক্রামিত হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। যদিও এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই ধরনের স্ট্রেন ইউরোপ ও আমেরিকাতেও পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি গবেষকদের। সম্প্রতি চিনেও এই ধরনের স্ট্রেন চোখে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়েছে যে এই স্ট্রেন অনেক বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এমন প্রমাণ মেলেনি।
ভারত থেকে যাওয়া ওই ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইন ভাঙায় তাঁকে পাঁচ মাসের জেলের শাস্তি দেওয়া হয়েছে ও জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল নূর হিসাম আব্দুল্লা জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার মানুষকে অনেক বেসি সতর্ক থাকতে হবে কারণ, নতুন এই স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে সেখানে। এই স্ট্রেন ১০ গুণ বেশি সংক্রমণের প্রবণতা রাখে বলে একটি ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন তিনি।
তবে ইউনিভার্সিটি অফ হংকং -এর অধ্যাপক বলেন, এই স্ট্রেন অন্যগুলোর থেকে বেশি সংক্রামক, তবে অনেক বেশি সংক্রামক কিনা তার প্রমাণ পাওয়া যায় না।
নূর হিসাম আব্দুল্লা এও বলেন, এই ধরনের মিউটেশন ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে মালয়েশিয়ায় নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা অনেকটাই কম। গত শনিবার একদিনে ২৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে সেখানে। ২৮ জুলাইয়ের পর থেকে এটাই সবথেকে বেশি বলে জানা গিয়েছে।