জিএসটির বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের কাছে তদ্বির করছিল বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি। অবশেষে তাদের সুসংবাদ শোনালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর নির্মলা জানান, খুব শীঘ্রই রাজ্যগুলির জিএসটি বাবদ পাওনা অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু-সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি দীর্ঘদিন ধরেই জিএসটির বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বহুবার অভিযোগের সুরে জানিয়েছেন, কেন্দ্র জিএসটির টাকা আটকে রাখায় রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ থমকে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সংসদেও সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সাংসদরা সরব হন। কেন্দ্রের তরফে অবশ্য বলা হয়, রাজ্যগুলি সরকারি খরচের হিসাব সংক্রান্ত নথি জমা না দেওয়ার কারণেই জিএসটির বকেয়া অর্থ বরাদ্দ করা যাচ্ছে না।
শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আজ পর্যন্ত জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ যে অর্থ বকেয়া রয়েছে, তা খুব শীঘ্রই মিটিয়ে দেওয়া হবে।” এই টাকার অঙ্কটা ১৬,৯৮২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন নির্মলা। তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, ক্ষতিপূরণ তহবিল থেকে, সরকার নিজের তহবিল থেকেই এই টাকা মেটাবে। গত ৫ বছরের যাবতীয় বকেয়া রাজ্যগুলিকে মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন নির্মলা।
২০১৭ সালের জিএসটি আইন অনুযায়ী রাজ্যগুলির প্রাপ্য শুল্কের একটা পরিমাণ সরাসরি কেন্দ্রের কাছে যাচ্ছে। কিন্তু তার জন্য রাজ্যগুলির যে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, তা পুষিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেবে বলে স্থির হয়। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির একাংশের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা অর্থ দেওয়ার বিষয়ে গড়িমসি করছে। শনিবারের জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বেশ কিছু দ্রব্যে জিএসটির হারে বদল আনা হয়েছে। গুড় এবং গুড়জাতীয় খাবারে আগে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হব। এ বার থেকে কোনও জিএসটিই দিতে হবে না। পেনসিলের শিস ধারালো করার যন্ত্রের উপর বসানো জিএসটির পরিমাণ ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে।