‘মমতা কেউ নন, দাদাই সব’, তৃণমূল কর্মীর কথা শুনে তাজ্জব হুগলি, লেগে গেল মারামারিও

কোন দিদি নয়। দাদাই সব’, এমনই কথা শোনা গিয়েছিল এক তৃণমূল কর্মীর মুখে। আর এই কথা শুনে দলের আরেক কর্মী আক্রমণ করেন সেই কর্মীকে। ফের আরও একবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এল। ঘটনাটি ঘটেছে, হুগলির-চুঁচুড়ায়। বুধবার রাত্রে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই এলাকার কাউন্সিলর ও বিধায়কের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। অভিযোগ তুলেছেন কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস। তার বক্তব্য, তাকে কিছু না জানিয়েই বিধায়ক এলাকায় গিয়ে সমস্ত কাজকর্ম করে আসেন।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাত্রে, চুঁচুড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে। সেখানে এক তৃণমূল কর্মী প্রকাশ্যে জানান, ‘দলে কোন দিদি নয়, দাদাই সব।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেউ নয়। একথা শুনেই তৃণমূলের অন্য আরেক কর্মী রেগে গিয়ে আক্রমণ করেন তাকে। দু’জনের মারামারিতে গেঞ্জি পর্যন্ত ছিঁড়ে যায়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে বচসার সূত্রপাত হয়। তৃণমূল কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস অভিযোগ তুলে বলেছেন, এই সমস্ত অশান্তি ও বিবাদ হচ্ছে বহিরাগত তৃণমূলের কারণে। তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ডের বাইরে থেকে কিছু তৃণমূল কর্মী এগিয়ে বাসিন্দাদের বিধবা ভাতা ও বার্ধক্য ভাতা ইত্যাদি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলছেন বিধায়ক। তারপর উনি নিজে গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করছেন, এই সমস্ত কিছুর কারণে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছে।

বুধবার রাতে, অশান্তির পর চুঁচুড়া আইসি অনুপম চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী পৌঁছে যায় বালির মোড়ে। সেখানে গিয়ে ঝন্টু সহ আরও অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা ছিলেন গৌড়হরি ভবন তথা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। ঝন্টু অভিযোগ করে বলেন, ‘আগে যারা বিজেপি করত, তারাই এখন তৃণমূলের হয়ে হুমকি দিচ্ছে। এমন একটা ব্যাপার, যেন আমি তৃণমূলের কেউ নয়। আমি অন্য দলের কাউন্সিলর।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.