যে কোনো রাজ্যে ধর্ষণের মতো জঘণ্য অপরাধের ঘটনা ঘটলে সেটা নিয়ে মানুষ ও সংবাদ মাধ্যম প্রতিবাদে মুখর হয়। যেটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। সম্প্রতি হায়দ্রাবাদে ডঃ রেড্ডিকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় পুরো দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল। প্রতিবাদ হায়দ্রাবাদ থেকে শুরু হয়ে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পরিস্থিতি একবারে ভিন্ন। পশ্চিবঙ্গের মালদায় যে ধর্ষনকাণ্ডের খবর সামনে এসেছে তা নিয়ে না আছে কোনো প্রতিবাদ না আছে মিডিয়ার স্পেশাল শো। মালদহতে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার খবর সামনে এসেছিল।
তবে ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ তো দূর, রাজ্যের মানুষজনই এর খবর রাখেনি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছেন এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
তরুণীকে আদৌ ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। এই মন্তব্য নিয়ে অবশ্য নেটিজনরা নানা রকম প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছে। তবে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি মালদার ঘটনাকে উক্ত করে বলেছেন তেলেঙ্গানা ও উন্নাও নিয়ে সকলে সরব হলেও মালদার ধর্ষণকান্ড নিয়ে সকলে চুপ। পশ্চিবঙ্গে ধর্ষণ নিয়েও রাজনীতি হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেত্রী।
হায়দ্রাবাদ ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ৪ জনকে এনকাউন্টার করার পরও মমতা ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া অনেকে মুখ খুলেছিলেন। হায়দ্রাবাদে ধর্ষকদের এনকাউন্টার হওয়ার পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন আইন নিজেদের হাতে তোলা উচিত হয়নি পুলিশের। মমতা ব্যানার্জী মূলত এনকাউন্টারের বিরোধিতা করেছেন। যা নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাপক চর্চা হয়েছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, হায়দ্রাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে মমতা ব্যানার্জী ছাড়াও বামপন্থী নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম এনকাউন্টারের বিরোধিতা করেছেন। হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েসীও এনকাউন্টারের বিরোধিতা করেন। আসাউদ্দিন ওয়েসী বলেছেন পুলিশের এনকাউন্টার করা উচিত হয়না, আমি এনকাউন্টারের বিরুদ্ধে।