ফের সংবাদ শিরোনামে কাশ্মীর৷ বড়সড় নাশকতার ছক ফাঁস করে সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা৷ সোমবার ভারতীয় সেনা কাঠুয়া থেকে ৪০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করে৷ এছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু বিস্ফোরণে ব্যবহৃত উপকরণ৷
কাঠুয়ার দিলাওয়াল এলাকার দেওয়াল গ্রামে তল্লাশি চালাতে শুরু করে সেনা৷ তারপরেই এই বিপুল পরিমাণের বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়৷ রিপোর্ট জানাচ্ছে, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ সেনার ইন্টেলিজেন্স কর্প ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে এই অপারেশন চালায়৷
এই বিস্ফোরক স্থানীয় এলাকাতেই তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে সেনা৷ কে বা কারা এই বিস্ফোরক তৈরি করত, তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ পাশাপাশি, কাঠুয়ার ঠিক কোথায় এই বিস্ফোরক তৈরি হত, তা জানার চেষ্টা করছে ভারতীয় সেনা৷
সোমবারই ভারতীয় সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত জানান, পাকিস্তানের বালাকোটে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জইশ ই মহম্মদ জঙ্গিরা৷ সেখানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জঙ্গি ক্যাম্প৷
এদের হাত ধরেই ও পাক সেনার মদতে প্রায় ৫০০ জন জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান৷ চেন্নাইতে এক সেনা প্রশিক্ষণ শিবিরে রাওয়াত বলেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর ভারত নিজের ক্ষমতা বুঝিয়েছিল৷ কিন্তু সেখান থেকে শিক্ষা নেয়নি পাকিস্তান৷
মাত্র সাত মাস আগেই বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক করে জঈশ জঙ্গিদের ঘাঁটিতে আঘাত করেছিল বায়ুসেনা। তবে ফের পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে সেই ঘাঁটিতে নতুন করে সক্রিয় হয়েছে জঙ্গিরা।
বালাকোটে প্রায় জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কাশ্মীরে হামলা চালানোর জন্য। জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পরেই পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি মদত শুরু করে। বালাকোটের ঘাঁটি সক্রিয় করার নেপথ্যেও সেই মদতই কাজ করছে।