পাটিয়ালার মহারানির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একবারও গলা কাঁপেনি যুবকের। দক্ষতার সঙ্গে নিজের পরিচয় দিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার হিসেবে। কায়দা করে জেনে নিয়েছিল মহারানির এটিএমের পিন নম্বর, সিভিসি এবং ওটিপি।
যুবকের মিষ্টি ভাষণে একবারও তাকে ঠগ, জোচ্চর বলে মনে হয়নি মহারানির। গড়গড় করে এটিএমের যাবতীয় তথ্য বলে দিয়েছিলেন তাকে। ভুলটা ভাঙে মোবাইলে মেসেজ আসার পর। যাতে বলা হয় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২৩ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
টাকা হারিয়ে প্রচণ্ড রেগে গিয়েছেন মহারানি। দ্রুত প্রতারককে গ্রেফতার করার ফরমানও জারি হয়েছে। পাটিয়ালার মহারানি বলে কথা, প্রতারককে খুঁজতে তড়িঘড়ি কাজে লেগে পড়ে পুলিশ। তৈরি হয় ৬ সদস্যের বিশেষ দলও। শেষে রাঁচির জামতারা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ।
আতাউল্লা আনসারি। বয়স ত্রিশের কোঠায়। ঝাড়খণ্ডের নারাইনপুর গ্রামে বাড়ি। আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে কি না সেটা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে পাটিয়ালার মহারানির টাকা লোপাটের ফন্দি এঁটেছিল বেশ কষেই। কী ভাবে কথা বলবে, পুরো বিষয়টা বার কয়েক অভ্যাসও করেছিল আতাউল্লা। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করেছে পঞ্জাব পুলিশ।
পাটিয়ালার মহারানি আর কেউ নন, কংগ্রেসের সাংসদ প্রনীত কৌর। তাঁর আরও একটা পরিচয় রয়েছে। তিনি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংয়ের স্ত্রী। গোটা বিষয়টা নিয়েও তাই মুখে কুলুপ এঁটেছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীয়ের প্রতিক্রিয়া কিছু জানা যায়নি। পাটিয়ালার আইজি এএস রাই ও এসএসপি মনদীপ সিং সিধুও ঘটনার বিষয়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন। সাইবার ক্রাইমের আইজি নৌনিহাল সিং জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত চলছে। লুঠ হওয়া সব টাকাই ফেরত দেবে বলে জানিয়েছে অভিযুক্ত।