“দেখো তো চেয়ে আমারে তুমি চিনিতে পার কি না।…
দুজনে মিলি সাজায়ে ডালি বসিনু একাসনে,
          নটরাজেরে পূজিনু একমনে।
কুহেলি গেল, আকাশে আলো দিল-যে পরকাশি
          ধূর্জটির মুখের পানে পার্বতীর হাসি।”
(সাগরিকা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গেলে রুদ্র ও রুদ্রাণীর যোদ্ধৃত্ব রূপের সম্মিলন দরকার। মহাকাল ও মহাকালীর মিলন। শান্তি তো অত্যাচারীও দিতে পারে। কিন্তু সে শ্মশানের শান্তি! প্রতিরক্ষার শান্তি যদি চাও তবে অসুর বধ করতে হবে, দিতে হবে রক্তের মান। প্রতিটি হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণ থেকে, প্রতিটি যোদ্ধার একবিন্দু রক্ত ক্ষয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মে প্রতিরক্ষার শান্তি আসে। তাতে উত্তরসূরীও নিজেকে তৈরি করতে পারে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রক্তক্ষয়ের ভাবনা। এইভাবেই ঐতিহ্যের অনুবর্তনে আসে প্রতিরক্ষার শান্তি।

রচনা – কল্যাণ চক্রবর্তী ছবি – শীর্ষ আচার্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.