মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্যভবন একটি বিবৃতি জারি করল। সেই বিবৃতির মাধ্যমে স্বাস্থ্যভবন জানিয়েছে, কামারহাটিতে যে দুজনের আন্ত্রিক মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল, তাঁদের মৃত্যু হয়েছে অন্য কোন কারণে। তবে পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতর মেনে নিয়েছে, আন্ত্রিকের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে কামারহাটি এলাকায়। সূত্রের খবর, বর্তমানে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১১ জন ভর্তি রয়েছেন।
ইতিমধ্যেই, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আন্ত্রিক মোকাবিলা করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ যেন গ্রহণ করা হয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, বুধবার সকাল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে হেলথ ক্যাম্প শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনের পক্ষ থেকে বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়, ৭২ বছর বয়সী যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে সাগর দত্ত হাসপাতালে, তাঁর কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা ছিল। এগুলিই তাঁর মৃত্যুর কারণ। এছাড়া আরও এক ৫০ বছরের মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কিডনির সমস্যা কারণে মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের দাবি, ডায়রিয়ার কারণে হয়নি।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, আন্ত্রিকের প্রকোপ কিভাবে ছড়াল কামারহাটিতে? মনে করা হচ্ছে, বর্ষার নোংরা জল পুরসভার জলের পাইপে ঢুকিয়ে এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এই অনুমানের ভিত্তিতে জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, জল ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে। এই পরিস্থিতিতে কামারহাটি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র জানিয়েছেন, ”কী কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী, জনপ্রতিনিধি এবং ডাক্তাররা উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা প্রতিদিন ওই এলাকাগুলিতে এক লক্ষ ম্যারিনেট করা খাবারের প্যাকেট পাঠাব। জল ফুটিয়ে দেব। কলকাতার টালা পার্ক থেকে জল আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের একটি ওয়ার্ড ডায়রিয়া রোগীদের জন্য নেওয়া হয়েছে। আরও দুটি ওয়ার্ড তৈরি রয়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে সেখানে চিকিৎসা চলবে। এলাকায় এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প করারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অসুস্থ হলে প্রত্যেকেই যাতে দ্রুত চিকিৎসা পান, সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।”