লাভ জিহাদে অসফল হয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণ করলো মহম্মদ আসিফ ও তার সাথীরা! ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে করতো ব্ল্যাকমেলিং

দেশে কট্টরপন্থীদের হাত থেকে হিন্দু যুবতীরা কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। রাজস্থানে এক যুবতী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক্ষেত্রেও অপরাধী কট্টরপন্থী হওয়ায় মিডিয়া খবরটিকে গোপন করার জন্য নেমে পড়েছে। ভুক্তভোগী যুবতী বিকম ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রী। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, অভিযুক্তরা তাকে জোর করে একটি হোটেলে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে গণধর্ষণ করে। অভিযুক্ত আসিফ খিরোদ-ঝুনঝুনুর বাসিন্দা। সুরেশ বলে মেয়েটির কাছে নিজের পরিচয় প্রকাশ করেছিলেন আসিফ। যুবতীকে নেশা জাতীয় পদার্থ খাইয়ে ধর্ষণ করে আসিফ ও তার সাথীরা। যুবতীকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়।

যুবতী জানিয়েছে যে, সে পড়াশোনার জন্য বাসে আসা যাওয়া করতো। সেই সময় বাসে এক যুবকের সাথে তার পরিচয় হয়। এই যুবকটি তার নাম সুরেশ কুমার বলেছিল। আসলে আসিফ যুবতীকে লাভ জিহাদে ফাঁসানোর জন্য নিজের নাম পাল্টে সুরেশ কুমার বলেছিল। যাতে তার ধর্ম যুবতী বুঝতে না পারে। একইসাথে সে মেয়েটির বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। যুবতী আসিফের প্রেম প্রস্তাবকে না করে দেয়। এরপর আসিফ কোনো বাহান দিয়ে পেট্রোল পাম্প এর সামনে যুবতীকে ডাকে।

সেখানে আগে থেকেই একটা গাড়ি উপস্থিত ছিল। গাড়ির মধ্যে আগে থেকে এক মহিলা ও অন্য ব্যাক্তি উপস্থিত ছিল। এখান থেকেই জোর করে যুবতীকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। মহম্মদ আসিফ ও তার সাথীরা যুবতীকে ধর্ষণ করে ৬৬ টি ভিডিও ক্লিপ করে। ভিডিওগুলি দেখিয়ে যুবতীর থেকে বহুবার টাকা নেওয়া হয়। যুবতীকে আসিফের কথা না শুনলে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। উদ্যোগ নগর পুলিশ এ মামলায় অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।

ভিডিও ক্লিপ এর মাধ্যমে ব্ল্যাক মেলিং করে মহম্মদ আসিফ যুবতীর থেকে ২৫ হাজার টাকা আদায় করছে। পুলিশ জানিয়েছে যে যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসিফের সাথে এক মহিলাও এই ব্ল্যাক মেলিং কাণ্ডে যুক্ত ছিল। মহিলাটি বার বার ভুক্তভোগী যুবতীকে ফোন করে হুমকি দিত। একবার যুবতী কলেজ যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষারত ছিল, সেখানে ওই মহিলাটি এসে বলতে থাকে যে এই মেয়েটি কলেজ যায় না, হোটেল যায়। যুবতীর থেকে টাকা আদায় করার জন্য নানাভাবে ব্ল্যাকমেলিং করা হতো। আসিফ যুবতীকে বলতো যে, সে এইরকম আরো অনেক মেয়েকে ফসিয়েছে কিন্তু কেউ তাকে ধরতে পারেনি। অর্থাৎ নিজের ধর্ম লুকিয়ে, নিজেকে হিন্দু বলে মেয়েদের লাভ জিহাদে ফাঁসানো। না হলে অপহরণ করে ধর্ষণ ও তারপর ব্ল্যাক মেলিং করে টাকা আদায়।প্রসঙ্গত স্মরণ করিয়ে দি, পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গারামপুরে এমন ঘটনা ঘটিত হয়েছিল। সেখানে লাভ জিহাদে অসফল হয়ে কট্টরপন্থী যুবতীর ধর্ষণ ও হত্যা করেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.