লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে রাজ্যের ওপর ফের চাপ বাড়াল রেল। মঙ্গলবার রেলের তরফে নবান্নে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল রাজ্য চাইলে শুক্রবার থেকেই পুরোদমে ট্রেন চালাতে তৈরি তারা। গোটাটাই নির্ভর করছে রাজ্যের ওপর।
করোনা বিধিনিষেধের জেরে মে থেকে বন্ধ কলকাতা ও শহরতলির লোকাল লোকাল ট্রেন। যার ফলে কর্মহারা লক্ষ লক্ষ মানুষ। ইতিমধ্যে কলকাতা লাগোয়া জেলাগুলির বিভিন্ন জায়গায় সেই ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে। তবে ট্রেন চালাতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে লাগু রয়েছে বিধিনিষেধ। তার পর শহরতলির লোকাল ট্রেন চলবে কি না তা নিয়ে ফের একবার জল্পনা শুরু হয়েছে সোমবার থেকেই। আর তার মধ্যেই নিজেদের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করল রেল।
এদিন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, যে ভাবে মানুষ স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে ওঠার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তাতে আমরা চিন্তিত। আমরা সরকারকে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। এবার দেখার তাঁরা কী বলেন।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক গীতা সরকার জানিয়েছেন, ‘ট্রেন চালাতে আমরা তৈরি। অপেক্ষা শুধু রাজ্য সরকারের সবুজ সিগন্যালের।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রেন না চলায় শহরতলি ও কলকাতা লাগোয়া জেলার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভের দায় কোনও ভাবেই নিতে নারাজ রেল। বারবার রাজ্যকে চিঠি দিয়ে তারা বার্তা দিতে চাইছে, ট্রেন বন্ধ থাকার একমাত্র কারণ রাজ্য সরকার।