ভারত এখন লিথিয়াম নিয়ে চীনের উপর আর নির্ভর থাকবে না। আর সেই ক্রমে ভারত আর্জেন্টিনার একটি কোম্পানির সাথে চুক্তিও করেছে। এখনো পর্যন্ত চীন থেকে প্রচুর পরিমাণে লিথিয়াম আমদানি করা হত। আর এরই মধ্যে ভারতের কর্ণাটকে লিথিয়ামের বিশাল ভাণ্ডার পাওয়া গিয়েছে। ইলেক্ট্রিক গাড়ি এবং মোবাইল সমেত নানান ব্যাটারিতে ব্যবহৃত লিথিয়ামের ভাণ্ডার ব্যাঙ্গালুরু থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূর মান্ড্যায় মিলেছে। এই ভাণ্ডার মেলার ফলে দেশে ই-ভেহকিল এর ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সাহাজ্য মিলবে। বৈজ্ঞানিকদের অনুমান অনুযায়ী, এই ভাণ্ডার ১ হাজার ৬০০ টনের হতে পারে।
একটি দৈনিক ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পরমাণু খনিজ নির্দেশালয় জানিয়েছে যে, অন্য দেশের লিথিয়াম ভাণ্ডারের তুলনায় ভারতের লিথিয়াম ভাণ্ডারে অনেক কম লিথিয়াম আছে। যদি আমরা চিলির ৮৬ লক্ষ টন, অস্ট্রেলিয়ার ২৮ লক্ষ টন, আর্জেন্টিনার ১৭ লক্ষ টন পর্তুগালের ৬০ হাজার টনের সাথে আমাদের ভাণ্ডারের তুলনা করি, তাহলে এটি অনেক কম।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের প্রোফেসর তথা ব্যাটারি টেকনোলজির বিশেষজ্ঞ এন মুনিচন্দ্রদয়া বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মান্ড্যায় আধ থেকে ৫ কিমি এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার টন এলআই ২০ উপলব্ধ হওয়ার অনুমান মিলেছে। যেটা লিথিয়াম মেটালের প্রায় ১৪ হাজার ১০০ টনের বরাবর।”
জানিয়ে রাখি, লিথিয়াম একটি রাসায়নিক পদার্থ, যেটিকে সবথেকে হালকা ধাতুর শ্রেণীতে ধরা হয়। এমনকি লিথিয়াম ধাতু হওয়ার পরেও চাকু অথবা কিছু ধারালো জিনিশ দিয়ে সহজেই কাটা যায়। লিথিয়াম দিয়ে বানানো ব্যাটারি অনেক হালকা হয় আর সহজেই রিচার্জ হয়ে যায়। লিথিয়ামের ব্যবহার রিচার্জেবেল ব্যাটারিতে হয়। আর ব্যাটারির দিক থেকে চীনের অনেক প্রভাব আছে। কিন্তু এখন আশা করা যাচ্ছে যে, ভারতের সাথে আর্জেন্টিনার চুক্তি চীনকে চাপে ফেলবে।