মিয়ানমারের অশ্বিন উইরাথুর মতোই চরমপন্থী বৌদ্ধ নেতা জ্ঞানাসারা এখন শ্রীলংকায় ইসলাম বিরোধের প্রধান মুখ, রাষ্ট্রপতি রাজাপাকসা তাঁকে কেন্দ্র করে সাজাচ্ছেন ‘এক দেশ এক আইনের’ ঘুঁটি, ছোট দ্বীপরাষ্ট্র যা করে দেখাচ্ছে, ভারত কেন করতে পারছে না? উঠছে প্রশ্ন

শ্রীলংকায় ক্রমশ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে জেহাদ বিরোধী শক্তি। রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসা দ্বীপ রাষ্ট্রে এক দেশ, এক আইনের পক্ষে সওয়াল করছেন। কৌশলগত ভাবে এই নীতিকে ইসলামীয় আগ্রাসনকে রাখার প্রয়াস বলে মনে করা হচ্ছে।

২০১৯ সালের ইস্টার বোমা বিস্ফোরণের পর এই আইনের প্রয়োজনিয়তা অনুভূত হয়। বৌদ্ধ ধর্মের অনুশাসন অনুযায়ী দেশ চালাবার জন্যই এই আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়। বৌদ্ধরা বিশ্বাস করেনা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে মুসলিমরা অন্যান্য করে বেঁচে যায়।

সিংহলীরা বিশ্বাস করেন যে দেশের মুসলিমরা দেশের স্বার্থের কথা না ভেবে নিজেদের ইচ্ছা পূর্তির বসিয়ে বেশি সচেতন। ২০০০ সালের প্রথম ভাগ থেকেই সিংহলীরা মুসলিমদের বাড় বাড়ন্তে অস্বস্তি প্রকাশ করতে শুরু করেন। বোরখা ও হিজাব পরিহিতা মহিলাদের রাস্তায় দেখলেই সিংহলীরা আপত্তি জানাতে শুরু করেন। অনেকে বলতে শুরু করেন পোশাকের ও আচার আচরণের মাধ্যমে মুসলিমরা জেহাদি সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

২০১২ সাল থেকে বদু বালা সেনা সেনা নাম সংগঠন জাতীয়তাবাদ ছড়িয়ে দেয়। ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসা চরমপন্থী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী গালাগদা অত্থে জ্ঞানাসারাকে আইন সংস্কারের ও পরিবর্তনের দায়িত্ব দেন।
জ্ঞানাসারা মুসলিম বিরোধী সংগঠন বদু বালা সেনার কর্মসূচি পরিচালনা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে মুসলিমদের উপর সন্ত্রাসের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৪ ও ২০১৮ গণহারে মুসলিম হত্যার জন্য তাঁকে দায়ী করা হয়। যদিও জনপ্রিয়তার বিচারে উনি মিয়ানমারের নেতা অশ্বিন উইরাথুর মতো গুরুত্বপূর্ন্য জায়গায় আসীন।

ইতিমধ্যে বোরখা ও হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। এদিকে ভারতে শিব সেনা প্রশ্ন তুলেছে শ্রী লংকায় বোরখা ব্যান হলে, ভারতে কেন নয়? আয়তনে অতি ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র যা করে দেখাচ্ছে হিন্দু জাতীয়তাবাদী মোদি সরকার কেন পারছে না ইসলামীয় আগ্রাসন রোধ করতে? এই প্রশ্ন ভাবছে সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.