চিঠি উদ্ধার নিয়ে সরকারি বিভাগগুলিতে চাপানউতোর শুরু
খড়্গপুরে একটি পুরনো বাড়ি ভাঙতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের হাতে লেখা চিঠি উদ্ধার হল টিনের বাক্সের ভিতর থেকে। চিঠিটি ১৯৩৫ সালের ১১ মার্চ লেখা।
খড়্গপুর (Kharagpur) শহরের মধ্যেই পাঁচিল ঘেরা একটা জায়গায় পুরনো বাড়ি ছিল। দীর্ঘদিন কেউ না থাকায় বাড়িটিতে গাছ গজিয়ে গিয়েছিল। জমিটির মূল মালিক মুখোপাধ্যায় পরিবারের তিন ভাই। তাঁদের একজন মারা গেছেন। কেউই এখানে থাকেন না। অন্য দুই ভাই ওই বাড়িটি ভাঙার দায়িত্ব দেন রাজা সরকার (Raja Sarkar) নামে একজনকে। কয়েক দিন ধরে বন সাফ করে বাড়ি ভাঙার কাজ করাচ্ছিলেন রাজা সরকার। তিনিই চিঠিটি পেয়েছেন।
পরিত্যক্ত ওই বাড়ি ভাঙতে গিয়ে সেখান থেকে অন্য জিনিসের সঙ্গে তিনি একটি টিনের বাক্স পান। তার ভিতর থেকে পাওয়া যায় একটি উত্তরীয়, জার্মান ভাষায় লেখা বেশ কয়েকটি বই ও পত্রিকা, পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া কয়েকটি খাতা, পুরনো কয়েকটি মুদ্রা ও রবীন্দ্রনাথের সই করা একটি চিঠি। খাতাগুলিতে রবীন্দ্রনাথের শতাধিক গান লেখা রয়েছে।
মুদ্রাগুলি ভারতের। পঞ্চম জর্জ ও ষষ্ঠ জর্জের সময়ের আনা ও পয়সা ও পরের দিকের কয়েকটি পয়সা এবং ১৯৮০-র দশকের এক টাকা প্রভৃতি। বইগুলি মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বুলেটিন।
ট্রাঙ্কের ভিতর থেকে এগুলি উদ্ধার হওয়ার কথা মালিকদের জানানো হয়েছে। তাঁরা এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
চিঠি সমেত টিনের বাক্সটি এখনও পড়ে রয়েছে সেই বাড়ির ভিতরেই। অমূল্য চিঠিটি উদ্ধার কে করবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে সরকারি বিভিন্ন বিভাগে চাপানউতোর।
জেলা পুলিশের দাবি চিঠি সমেত ট্রাঙ্ক উদ্ধার করবে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের বক্তব্য – সমস্ত সামগ্রী উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর কথা জেলা গ্রন্থাগার বিভাগের। জেলা গ্রন্থাগার বিভাগ আবার এনিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে রাজি হচ্ছে না। কোনও সরকারি বিভাগের কেউই এনিয়ে গণমাধ্যমে কিছু বলতেই চাইছেন না। তাই চিঠির ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।