অদ্ভূত!
বামপন্থী মিডিয়া তালিবান ইস্যু তে; আমেরিকা, আফগানিস্তান ছেড়ে ভুল করলো না ঠিক করলো এই আলোচনায় ব্যস্ত।
তালিবান যদি সভ্য হতো , সহিষ্ণু হতো এই আলোচনায় আপত্তি ছিল না।কিন্তু তালিবান যে ফতোয়া জারি করছে তার পেছনের মানসিকতা কি আমেরিকা বা রাশিয়ার সৃষ্টি? মেয়েদের সঙ্গে যে অত্যাচার করছে, সভ্যতাকে আদিম যুগে নিয়ে যাওয়ার যে চেষ্টা করছে তা কি গ্ৰহণযোগ্য ?
শরিয়তি কানুনের কথা যেনো কমিউনিস্টরা শোনেই নি।
তালিবানের অস্ত্র কতটা আধুনিক সেই দিয়ে তালিবানকে সভ্য প্রমাণ করার যে চেষ্টা চলছে তা সভ্যতার লজ্জা।
এখন বিশ্বের নারীবাদীরা কোথায়?
এখন বামপন্থী মানবতাবাদীরা কোথায় ?
আমেরিকা যে আফগানিদের অস্ত্র দিয়েছিল , তালিবানের সঙ্গে লড়াই করার জন্য তারাই যদি তালিবানে যোগ দেয় তাহলে আমেরিকার দোষ কোথায়?
আমেরিকা , সোভিয়েত রাশিয়া বিভিন্ন সময় তালিবান কে ব্যবহার করেছে সত্য কিন্তু তালিবানের মতাদর্শ তাদের নিজস্ব।
এখন চীন তালিবানকে খোলাখুলি সমর্থন করছে বলে বামপন্থী বন্ধুরা তালিবানের আলোচনাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
পাকিস্তান , ভারতবিরোধী কার্যকলাপে তালিবানের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক।
বামপন্থীরা , পাকিস্তানের কৌশলের বিপক্ষে কোনোদিন কি মুখ খুলেছে?
কেউ কেউ বলছে এটা নাকি নতুন আধুনিক তালেবান।
কিন্তু সেটাও কতটা হাস্যকর তা প্রতিদিন প্রমাণ হচ্ছে।
আমেরিকা এই মানসিকতাকে কুড়ি বছর আটকে রেখেছিল বলেই বিশ্বকে এই নৃশংসতা দেখতে হয় নি।
বামপন্থীদের বন্ধু ,জো বাইডেনের এই সিদ্ধান্তকে এখন প্রশ্ন করা হচ্ছে কিন্তু বাইডেনের ক্ষমতা দখলের সময় খুব নাচানাচি হয়েছিল এই বলে যে জো বাইডেন চীন-পাকিস্তানের কাছের লোক।
আফগানিস্তানের অনেক শহরেই এখন তালিবানের বিরুদ্ধে মানুষ দাঁড়াচ্ছে , তারা বুঝেছে তালিবানি নিয়মে জীবনযাপন কোনো সভ্য সমাজের পরিচয় নয়।
এই বর্বরতা কে পরাজিত হতেই হবে। বিশ্ব , নিশ্চয়ই এই নৃশংসতার কারণ গভীরে গিয়ে অনুসন্ধান করবে।
তালিবানি মানসিকতা কোনো একটি দেশের সীমার মধ্যে আবদ্ধ নয় , কোনো একটি দেশের সমস্যা নয় তা ইতিমধ্যেই বিশ্ব বুঝেছে শুধু প্রয়োজন সভ্যতার পক্ষে দাঁড়ানো দেশগুলোর একসাথে এসে এই সমস্যার সমাধান খোঁজা।
🙏🌸💐