পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দুর এই সর্বনাশে দায়ী বামপন্থীরা ও মমতা। ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ের এই মন্তব্যে টুইটার ও ফেসবুকে প্রবল প্রতিক্রিয়া হয়েছে। পোস্ট করার পর প্রথম এক ঘন্টায় লাইক, মন্তব্য ও শেয়ারের সংখ্যা যথাক্রমে ৫৬৯, ৯০ ও ৩৯। তথাগতবাবু শনিবার দুপুরে লেখেন, “কোনো একটি জনগোষ্ঠীর মেরুদন্ডটিকেই পচিয়ে দেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়, বিনা শ্রমে বিনা পয়সায় তাদের কিছু ‘পাইয়ে দেওয়া’। এর ফলে তারা শুধু ‘দাবী’ করতে শেখে, পরিবর্তে কিছু দিতে শেখে না। আজকে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দুর এই সর্বনাশটিই করেছে বামপন্থীরা ও তাদের মেধাবী ছাত্রী।” প্রতিক্রিয়ায় ধীমান সিনহা লেখেন, “বিগত ৫৫ বছরে, পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা হয়েছে, সেটা ঠিক করা বোধহয় একেবারেই অসম্ভব।
বর্তমান সরকার সরে যাবে! ভবিষ্যতে নতুন দল সরকার গঠন করবে! হয়ত বিজেপি-ই করবে! কিংবা সিপিএম বা কংগ্রেস অথবা নতুন কোন দল!
জানিনা! সেটা ভবিষ্যত্ বলবে! তবে, এটুকু জানি বেঙ্গলের একটি বৃহত্ অংশের শিরদাঁড়া, কর্মক্ষমতা, সদিচ্ছা ইত্যাদি ভেঙে চুরে পঙ্গু করে দিয়েছে এই ৫৫ বছরে! মানুষের চারিত্রিক বদল করে দিয়েছে!
নতুন কোন সরকার আসলে ১০০% নিশ্চিত যে তার জন্য এটা পুরো পাহাড় ঠেলার কাজ হবে! এখানে সব ঠিক করতে! আমরা একেবারে ডুবে গিয়েছি!” রাজীব দে লেখেন, “মানুষকে পঙ্গু বানিয়ে আজীবন ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার ধান্দা। আগেরটারও ছিল, এটারও আছে।” শুভাশিষ রায় লেখেন, “তথাগতদা আপনার সাথে আমি একমত। সত্যি এরা দুই দল আজ এই পরিস্থিতির জন্যে দায়ী। এতে কোনো ভুল নেই।” এস সি শিমূল লেখেন, “আগে তাকে মেরে হাত পাও ভেঙ্গে দাও তার পর হুইলচেয়ার কিনে দাও বড় করে সেলফি তুলে ফেসবুকে স্টাটাস দাও দেখবে জনগন বলবে বাংলা তার নিজের হুইলচেয়ার চায়।” অর্ণব ভট্টাচার্য লেখেন, “যাদের রাজ্য ভিক্ষাজীবীতায় প্রথম তারা আবার উত্তরপ্রদেশ আর গুজরাত দেখায়, ছিঃ!” কল্যাণ সেন লেখেন, “কাজ না করিয়ে -পাইয়ে দিয়ে – না পরীক্ষায় পাস করিয়ে দিলে যদি রাজত্ব পাওয়া যায় তাহলে করবেনা কেন?