বিশ্বের বৃহত্তম ভারতীয় এবং বৈজ্ঞানিক সময় গণনা পদ্ধতি (মুনি-ঋষিদের গবেষণা)

■ ১ক্রতি = সেকেন্ডের ৩৪০০০ভাগ
■ ১ত্রুতি = সেকেন্ডের ৩০০ ভাগ
■ ১ত্রুতি= ১ লব
■ ১লব = ১মুহুর্ত
■ ৩০ মুহূর্ত = ১ বিপল
■ ৬০ বিপল = ১পল
■ ৬০ পল = ১ ঘড়ি (২৪মিনিট)
■ ২.৫ ঘড়ি = ১ হোরা (ঘন্টা)
■ ২৪ হোরা = ১দিবস (দিন বা বার )
■ ৭ দিন = ১ সপ্তাহ
■ ৪ সপ্তাহ = ১ মাস
■ ২ মাস = ১ ঋতু
■ ৬ ঋতু = ১ বছর
■ ১০০বছর = ১ শতাব্দী
■ ১০ শতাব্দী= ১ সহস্রাব্দ
■ ৪৩২ সহস্রাব্দ = ১ যুগ
■ ২ যুগ = ১ দ্বাপর যুগ
■ 3 যুগ = ১ ত্রেতা যুগ
■ ৪ যুগ = সত্যযুগ
■ সত্যায়ুগ + ত্রেতা যুগ + দ্বাপর যুগ + কলিযুগ = ১ মহাযুগ
■ ৭৬ মহাযুগ = মন্বন্তর
■ ১০০০ মহাযুগ = ১ কল্প
■ ১ নিত্য প্রলয় = ১ মহাযুগ ( পৃথিবীতে জীবন শেষ হয় এবং আবার শুরু হয়)
■ ১ নৈমিতিকা প্রলয় = ১ কল্প (দেবতাদের মৃত্যু ও জন্ম)
■ মহাকাল = 730 কল্প। (ব্রহ্মার মৃত্যু ও জন্ম)

এটি সমগ্র বিশ্বের বৃহত্তম এবং বৈজ্ঞানিক সময় গণনা পদ্ধতি। যা আমাদের দেশ ভারতে তৈরি হয়েছিল। এই ভারতের জন্য আমরা গর্বিত !

দুটি লিঙ্গ. : পুরুষ এবং স্ত্রী।
দুটি পক্ষ: শুক্লপক্ষ এবং কৃষ্ণপক্ষ।
দুটি পূজা: বৈদিক এবং তান্ত্রিক (পুরাণ মতে )। দুটি অয়ন : উত্তরায়ণ এবং দক্ষিণায়ন।

তিন দেবতা: ব্রহ্মা, বিষ্ণু,মহেশ্বর।
তিন দেবী: মহা সরস্বতী, মহা লক্ষ্মী, মহা গৌরী। তিন লোক : পৃথিবী ‚আকাশ ‚পাতাল।
তিন গুণ: সত্ত্বগুণ, রজোগুণ ‚ তমোগুণ।
তিন অবস্থা: কঠিন ‚ তরল, গ্যাসীয়।
তিন স্তর: সূচনা, মধ্য,অন্তিম।
তিন পর্যায় : শৈশব, যৌবন , বার্ধক্য।
তিন সৃষ্টি : দেবতা ‚ দানব, মানুষ ।
তিন অবস্থা: জাগ্রত, মৃত, বিদেহী ।
তিন কাল: অতীত, ভবিষ্যত, বর্তমান।
তিন নাড়ী : ইড়া , পিঙ্গলা, সুষুম্না।
তিন অহ্ন: পূর্বাহ্ন , মধ্যাহ্ন, সায়াহ্ন।
তিন শক্তি: ইচ্ছাশক্তি, জ্ঞান শক্তি, কর্ম শক্তি।

চার ধাম: বদ্রীনাথ, জগন্নাথ পুরী, রামেশ্বরম, দ্বারকা।
চার মুনি : সনত, সনাতন, সনন্দ, সনত কুমার।
চার বর্ণ: ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র।
চার নীতি: সাম, দাম, দন্ড, ভেদ।
চার বেদ: সামবেদ, ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, অথর্ববেদ। চার মহিলা : মা, স্ত্রী, বোন, কন্যা।
চার যুগ: সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপর যুগ, কলিযুগ।চার সময় : সকাল, সন্ধ্যা, দিন, রাত।
চার অপ্সরা: উর্বশী, রম্ভা , মেনকা, তিলোত্তমা। চার গুরু: মাতা , পিতা, শিক্ষক, আধ্যাত্মিক গুরু। চার প্রাণী: জলচর ‚ স্থলচর , খেচর , উভচর।
চার জীব: অন্ডজ , পিন্ডজ , স্বেদজ, উদ্ভিজ।
চার ধ্বনি : ওমকার, অকার, উকার, মকার।
চার আশ্রম: ব্রহ্মচর্য, গ্রাহস্থ , বানপ্রস্থ, সন্ন্যাস।
চার খাবার: খাদ্য, পানীয়, লেহ্য , চোষ্য ।
চার পুরুষার্থ: ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ।
চারটি বাজনা: তত্‍ , সুষির , অবনদ্ব ,ঘন।

পাঁচ উপাদান: পৃথিবী, আকাশ, আগুন, জল, বাতাস।
পাঁচ দেবতা: গণেশ, দুর্গা, বিষ্ণু, শিব, সূর্য।
পাঁচ জ্ঞানেন্দ্রিয়: চক্ষু , নাসিকা, কর্ণ , জিহ্বা, ত্বক।
পাঁচটি কাজ : রস, রূপ, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ।
পাঁচ আঙ্গুল: বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ , তর্জনী, মধ্যমা , অনামিকা‚কনিষ্ঠা।
পাঁচ পূজা উপাচার : গন্ধ, পুষ্প , ধূপ, দ্বীপ‚ নৈবেদ্য।
পাঁচ অমৃত: দুধ, দই, ঘি, মধু, চিনি।
পাঁচ প্রেত : ভূত, পিশাচ , বেতাল , কুষ্মান্ড‚ ব্রহ্মদৈত্য ।
পাঁচ স্বাদ: মিষ্টি, ঝাল , টক, নোনতা , তেতো।
পাঁচ বায়ু : আত্মা, অপান, ব্যন, উদান ‚সমান।
পাঁচ বটবৃক্ষ : সিদ্ধবট (উজ্জয়িনী ), অক্ষয়বট (প্রয়াগরাজ), বোধিবট (বোধগয়া), বংশীবট (বৃন্দাবন), সাক্ষীবট (গয়া)।
পাঁচ পাতা: আম, অশ্বত্থ, বট , ডুমুর ‚অশোক।
পাঁচ কন্যা: অহল্যা, তারা, মন্দোদরী, কুন্তী ‚ দ্রৌপদী।

ছয় ঋতু: শীত, গ্রীষ্ম, বৃষ্টি, শরত, বসন্ত, শীত। জ্ঞানের ছয়টি ভাগ : শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দ, জ্যোতিষ।
ছয়টি কর্ম: দেবপূজা, গুরু উপাসনা, স্বঅধ্যায়ন, সংযম, তপস্যা, দান।
ছয় ত্রুটি: কাম, ক্রোধ,লোভ ‚মোহ ‚মদ‚মাৎসর্য।

সাত মন্ত্র : গায়ত্রী, উষ্ণিক ‚ অনুষ্টুপ, বৃহতী , পংক্তি, ত্রিষ্টুপ , জগতী।
সাত স্বর: সা, রে, গা,মা ‚পা, ধা ‚ নি।
সাত সুর: ষড়জ , ঋষভ , গান্ধার, মধ্যম , পঞ্চম, ধেবত ‚ নিষাদ।
সাত চক্র: সহস্রার, আজ্ঞা , বিশুদ্ধ , অনাহত‚ মণিপুর, স্বাধিষ্ঠান , মূলাধার।
সাত বার: সূর্য, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি ‚শুক্র, শনি।
সাতটি মাটি: গোশালা, ঘোড়াশাল ‚হাতিশাল‚ রাজদ্বার, সাপের মাটি, নদীর সঙ্গম, পুকুর।
সাত মহাদ্বীপ : জম্বুদ্বীপ (এশিয়া), প্লক্ষদ্বীপ ‚ শাল্মলীদ্বীপ , কুশদ্বীপ, ক্রৌঞ্চদ্বীপ , শাকদ্বীপ, পুষ্করদ্বীপ।
সাত ঋষি: বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, কণ্ব , ভরদ্বাজ, অত্রি, বামদেব, শৌনক।
সাত ঋষি: বশিষ্ঠ, কাশ্যপ, অত্রি ‚জামদগ্নি ‚গৌতম, বিশ্বামিত্র, ভরদ্বাজ।
সাত ধাতু (শারীরিক): রস, রক্ত, মাংস, চর্বি, হাড়, মজ্জা, বীর্য।
সাত রঙ: বেগুনি, নীল, আকাশী ‚সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল।
সাত পাতাল : অতল,বিতল , সুতল, তলাতল, মহাতাল, রসাতল , পাতাল।
সাত পুরী : মথুরা, হরিদ্বার, কাশী, অযোধ্যা, উজ্জয়িনী ‚ দ্বারকা, কাঞ্চী।
সাত শস্য: বিউলি, গম, ছোলা, চাল, যব, মুগ, বাজরা।

আট জন মাতা: ব্রাহ্মী, বৈষ্ণবী, মহেশ্বরী, কুমারী ‚ঐন্দ্রী ‚ বরাহী, নারসিংঘী , চামুন্ডা।
আট জন লক্ষ্মী: আদিলক্ষ্মী, ধনলক্ষ্মী, ধান্যলক্ষ্মী, গজলক্ষ্মী, সন্তানলক্ষ্মী, বীরলক্ষ্মী, বিজয়লক্ষ্মী, বিদ্যালক্ষ্মী।
আট জন বসু: অপ (অহ/অয়জ ), ধ্রুব, সোম, ধর, অনিল, অনল, প্রত্যুষ, প্রভাস।
আটটি সিদ্ধি: অনিমা, মহিমা, গরিমা, লঘিমা,প্রাপ্তি ‚প্রকাম্য , ঈষিত্ব ,বশিত্ব।
আটটি ধাতু: স্বর্ণ, রৌপ্য, তামা, সীসা দস্তা, টিন, লোহা, পারদ।

নবদুর্গা: শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিনী, চন্দ্রঘন্টা, কুষ্মান্ডা , স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী, সিদ্ধিদাত্রী।
নবগ্রহ: সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি , শুক্র, শনি, রাহু, কেতু।
নবরত্ন: হীরা, পান্না, মুক্তো, রুবি, প্রবাল, পোখরাজ, নীলা, গোমেদ, বিড়ালাক্ষ।
নবনিধি: পদ্মনিধি, মহাপদ্মনিধি, নীলানিধি, মুকুন্দনিধি, নন্দনিধি, মকরনিধি, কচ্ছপনিধি, শঙ্খনিধি, খর্ব / মিশ্র নিধি।

দশ মহাবিদ্য: কালী, তারা, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী, ছিন্নমস্তিকা , ধূমাবতী, বগালামুখী, মাতঙ্গী, কমলা।
দশ দিক: পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ,অগ্নি ‚ নৈঋত ‚ বায়ু ‚ ঈশান, ঊর্ধ, অধঃ।
দশ দিকের অধিপতি : ইন্দ্র, অগ্নি, যমরাজ, নৈঋতি‚ বরুণ, পবনদেব ‚ কুবের, ইশান, ব্রহ্মা‚ অনন্ত।
দশ অবতার (বিষ্ণু): ​​মৎস্য, কচ্ছপ, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, কল্কি।
দশ সতী: সাবিত্রী, অনুসূয়া , মন্দোদরী, তুলসী, দ্রৌপদী, গান্ধারী, সীতা, দময়ন্তী, সুলক্ষণা, অরুন্ধতী।

উপরোক্ত তথ্যগুলি ধর্মগ্রন্থ ভিত্তিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.