কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কুমারস্বামীর শপথ নেওয়ার দিনেই মহাজোটের প্রাথমিক একটা ছবি দেখেছিল দেশবাসী। মঞ্চে সেদিন সোনিয়া, মমতা, রাহুল, অখিলেশ, ইয়েচুরি, মায়াবতী- কে নেই! আর বুথ ফেরত সমীক্ষা সমানে আসতেই বেঁকে বসছেন সেই কুমারস্বামী।
মঙ্গলবার দিল্লিতে যখন ২১টি দলের প্রতিনিধিরা বৈঠক করছেন, তাতে নেই কুমারস্বামী। সূত্রের খবর, কর্ণাটকে বিজেপির জয়জয়কারের সম্ভাবনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যদিও এই বৈঠকে অনুপস্থিতি নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি কুমারস্বামীর অফিসের তরফ থেকে।
ভিভিপ্যাট অডিটের দাবি নিয়ে এদিন একজোট হয়েছিলেন বিরোধী নেতারা। আর সেখানেই জেডিএস নেতার অনুপস্থিতি উস্কে দিয়েছে জল্পনা।
রবিবার বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই জেডিএস ও কংগ্রেসের জোট নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। ওই জোট আদৌ স্থায়ী হবে কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কর্ণাটকের ২৮টি লোকসভা আসনে কংগ্রেস যদি ভাল ফল না করতে পারে, সেক্ষেত্রে এই জোটের ভবিষ্যত কী হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। উল্লেখ্য, বেশির ভাগ এক্সিট পোলই বলছে, কর্ণাটকে বিজেপিই জয়ী হবে বেশিরভাগ আসনে।
কুমারস্বামীর শপথে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল দেশের সব বিরোধী নেতাদের। সেখানেই মহাজোটের ভাবনা শুরু হয়। এরপর কলকাতায় ব্রিগেড মঞ্চে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন কুমারস্বামী, সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়াও।