দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ লক্ষ পেরিয়েছে। তবে এই পর্যন্ত পাওয়া খবরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬০ লক্ষের কাছাকাছি করোনা রোগী। কিন্তু এরপর হয়ত আর কিছু মাস, তারপরেই দেশবাসীর অপেক্ষা শেষ। শীঘ্রই বাজারে আসতে চলেছে ভারতের করোনার ভ্যাক্সিন, কোভ্যাক্সিন। ভারত বায়োটেক-এর এই ভ্যাক্সিন সাফল্য থেকে আর মাত্র এক পা দূরে বলেই জানা গিয়েছে।
করোনা সম্ভাব্য ভ্যাক্সিনের তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করার অনুমতি চেয়ে গত ২রা অক্টোবর ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া-এর কাছে আবেদন করে ভারত বায়োটেক বা ডিসিজিআই। এই পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিসিআই জানায় তার আগে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সমস্ত নথিপত্র জমা করতে হবে। অর্থাৎ, যারা এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাক্সিন নিয়েছেন, তাদের শরীরে আদৌ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কী না বা এই ভ্যাক্সিনটি কতটা নিরাপদ, এসবের পূর্ণাঙ্গ তথ্য জমা করতে বলা হয়েছে ভারত বায়োটেককে। এছাড়াও, তৃতীয় দফার পরীক্ষা নিরীক্ষা করার কিছু তথ্য ভারত বায়োটেককে জমা করতে হবে ডিসিজিআই-কে। এসব দিক বিচার করে দেখার পরই তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি মিলবে।
সূত্রের পাওয়া খবর অনুযায়ী, যে সমস্ত ভলেন্টিয়ারকে এই এখনও অবধি এই ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে, তাদের ইঞ্জেকশনের জায়গায় ব্যাথা ছাড়া অন্য কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তৃতীয় তথা শেষ পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ১৮ বছরের বেশী ২৮,৫০০ জন ভলেন্টিয়ারকে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। দশটি রাজ্যের মোট ১৯টি জায়গা থেকে ভলেন্টিয়ার নেওয়া হবে। লখনউ, দিল্লি, পাটনা, মুম্বই-এর মতো শহর থেকে ভলেন্টিয়ার নেওয়া হবে। তবে কোভ্যাক্সিন নিয়ে কোনওরকম তাড়াহুড়ো করতে একেবারেই রাজী নয় ডিসিজিআই।