প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দেওয়ার ভাবনার ঘোষণা পুরো দেশকে চমকে দিয়েছে। তাঁর এই টুইটের পর থেকে তিনি আগামী রবিবার কী ঘোষণা করতে চলেছেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর যাত্রা সম্পর্কে বলা যায় তিনি ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছিলেন , যাতে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সফর। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে, তিনি টুইটারে তার অ্যাকাউন্ট শুরু করেছিলেন। তিনি তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। পাঁচ বছর পরে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
রাজনৈতিক যাত্রার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি এক অনন্য উচ্চতা লাভ করেন। প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সর্বাধিক অনুসরণ করা রাজনীতিবিদদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টুইটারে তার ফলোয়ার ক্রমবর্ধমান। টুইটারে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথম দুই বছর, তিনি খুব কমই টুইট করতেন। ২০০৯ সালে তিনি প্রতিদিন গড়ে ০.৬২ টি এবং ২০১০ সালে গড়ে ০.২৩ টি টুইট করেছেন। ২০১১ সালে তিনি গড়ে ১.১৭ টুইট , ২০১২ সালে ৩.২৮ এবং ২০১৩সালে ৪.৯১ টি টুইট করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে পিএম মোদীর প্রতি দিন গড় টুইটের সংখ্যাও বেড়েছে। ২০১৪ সালে তিনি প্রতিদিন গড়ে ৭.৭৯ টি টুইট করতেন, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.৫৫ তে।
‘গুজরাট’ (Gujarat) থেকে ‘ভারত’ (India)
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তাঁর টুইটে ‘গুজরাট’ (Gujarat) শব্দটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছিল। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে তিনি ৬৯৩ বার এই শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এই সময়ে, ‘ভারত’ (India) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল ৬৪৫ বার। তবে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে, তাঁর টুইটের ভাষা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে, তিনি ‘ভারত’ (India) শব্দটি ১৫১৭ বার ব্যবহার করেছেন যখন ‘গুজরাট’ (Gujarat) শব্দ হ্রাস পেয়েছে মাত্র ৯৭ তে ।