আগে ছিল মাসে ৫০ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে এক লাফে দ্বিগুন হয়ে লোকসভার সাংসদদের বেসিক বেতন হয়েছে ১ লাখ টাকা। তবে এখনই আর বাড়ছে না। নয়া নিয়ম অনুযায়ী আবার বেতন বাড়বে ২০২৩ সালে।
২০১৮ সালের বাজেট পেশের সময়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি থেকে সাংসদদের বেতন বাড়ান। আসলে সেই সময়েই কার্যকর হয় সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ। আর তাতে সরকারি কর্তাদের বেতন এতটাই বেড়ে যায় যে সংসদীয় প্রধানের বেতন বাড়াতেই হয়। রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির বেতন হয় যথাক্রমে পাঁচ লাখ ও চার লাখ টাকা। একই সঙ্গে বাড়ে প্রধানমন্ত্রী ও লোকসভার সাংসদদের বেসিক বেতন। ৫০ হাজার থেকে বেড়ে হয় এক লাখ টাকা। রাজ্যপালদের বেতন হয় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
একবার সাংসদ হতে পারলে পেনশনও বাঁধা। আগে সেটা ছিল মাসে ২০ হাজার টাকা। নতুন নিয়মে সেটা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। দীর্ঘ দিন ধরেই বেতন ও পেনশন বৃদ্ধির দাবি ছিল। ২০১৮ সালে সাংসদদের বেতন বৃদ্ধির সময়েই অরুণ জেটলি নতুন নিয়ম লাগু করে জানান, প্রতি পাঁচ বছর পরে সাংসদদের বেতন বৃদ্ধি হবে।
তবে সাংসদরা মাসে মাসে বেতন ছাড়াও পান সাংসদ এলাকায় অফিস চালানোর জন্য মাসে ৪৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১৫ হাজার টাকা অফিস খরচ বাকিটা অফিসকর্মীদের বেতন বাবদ। এছাড়াও সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত থাকলে দিন পিছু মেলে দু’হাজার টাকা। একটা সরকারি চাকরির মতো অন্যান্য ভাতাও মেলে। বছরে ৩৪টা বিমান সফর ছাড়াও নিখরচায় যত খুশি ট্রেন ও সড়ক পথে সফর করার সুযোগ। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার একজন সাংসদের জন্য মাসে ৩ লাখ টাকার বেশি খরচ করে।