বাংলার ভোটে ঢুকে পড়েছে ভিসা বিতর্ক। দুই বাংলাদেশি নাগরিক অভিনেতার তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ নিয়ে শাসক দলের সঙ্গে বিজেপির চাপানউতোর তুঙ্গে। মঙ্গলবার ফিরদৌসের পরে বুধবার নুরকে সতর্ক করল বাংলাদেশে হাই কমিশন। ভারত বিজনেস ভিসা বাতিল করায় এদিনই ঢাকা ফিরে গেলেন অভিনেতা ফিরদৌস।
প্রথমেই জেনে রাখা দরকার কোনও বিদেশি নাগরিক কোনও ব্যবাসায়িক কারণে ভারতে নিয়মিত যাতায়াত করার জন্য বিজনেস ভিসা নিতে পারে। তবে কতগুলি শর্ত থাকে। দেখে নেওয়া যাক কী কী দেখে বিজনেস ভিসা পাওয়ার যোগ্য বিবেচনা করা হয়।
১. কোনও বিদেশি যদি ভারতে শিল্প বা ব্যবসা করতে চান অথবা এদেশে শিল্প বা ব্যবসা করার সম্ভাবনা যাচাই করতে চান।
২. কোনও বিদেশি যদি কোনও শিল্প, বাণিজ্যিক বা ভোগ্যপন্য কিনতে বা বিক্রি করতে আসেন।
৩. কোনও বিদেশি যদি ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও মিটিং বা আলোচনায় যোগ দিতে আসেন।
৪. কোনও বিদেশি যদি ভারতে কর্মী নিয়োগ করতে আসেন।
৫. কোনও বিদেশি নাগরিক যদি কোনও ব্যবসার অংশিদার বা কোনও সংস্থার ডিরেক্টর হন।
৬. কেউ যদি ভারতে কোনও প্রদর্শনী, বাণিজ্যিক মেলায় যোগ দিতে বা তা নিয়ে আলোচনা করতে আসতে চান।
৭. কোনও বিদেশি ক্রেতা যদি ভারতের কোনও জায়গায় কোনও পন্য কিনতে চান বা তার সম্ভাবনা, গুনগত মান যাচাই করতে চান।
৮. কোনও বিদেশি বিশেষজ্ঞ অল্প সময়ের জন্য কোনও চালু প্রকল্পের কাজ বা অগ্রগতি দেখা বা তা নিয়ে মিটিং করা বা উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিতে চান।
৯. কোনও চালু প্রকল্প না থাকলেও কোনও বিদেশি পন্যের বিক্রয়-পূর্ব কাজকর্মের জন্য ভারতে আসতে চান।
১০. ভারতের কোনও সংস্থায় কর্মরত বিদেশি নাগরিক প্রশিক্ষণের জন্য যদি আসতে চান।
১১. কোনও ভারতীয় সংস্থায় বা শিল্পে বিদেশি পড়ুয়ারা যদি ইন্টার্ন হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে চান।
১২. ভারতের জন্য প্রয়োজনীয় কাজে কোনও সংস্থার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ, বিশেষজ্ঞ, ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্টরা আসতে চান।
এখন রাজ্য বিজেপির দাবি, যে যে কারণে একজনকে ভারতের বিজনেস ভিসা পাওয়ার যোগ্য মনে করা হয় তার মধ্যে দেশের কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচারের কথা উল্লেখ নেই। সুতরাং, সেটা করা এবং তা করতে সাহায্য করা দু’টোই গর্হিত অপরাধ।