সম্প্রতি ব্রিটেনের নয়া ক্যাবিনেটে প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন ভারতীয় বংশভুত প্রীতি প্যাটেলকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। ব্রিটেনের Conservative Party এর সবথেকে চর্চিত নাম ৪৭ বছর বয়সী প্রীতি প্যাটেল, তিনি তাঁর দক্ষিণপন্থী চিন্তাভাবনার জন্য বিখ্যাত। ব্রিটেনে ওনাকে সবাইক কট্টর মোদী সমর্থক হিসেবেই জানেন। আর তিনি ব্রিটেনে বেক্সিট সমর্থকদের প্রধান মুখ হিসেবে উঠে এসেছিলেন।
২০১৭ সালে প্রীতি প্যাটেল সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত ভাবে ইসরায়েলের যাত্রা করেছিলেন। সেই সময় ওনার উপর প্রোটোকল ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল। ওনার উপরে অভিযোগ উঠেছিল যে, উনি ব্রিটিশ দূতাবাসকে না জানিয়েই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু সমেত সেখানকার সমস্ত অফিসারদের সাথে দেখা করেন। এই অভিযোগের পর সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। আর ওনাকে ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়।
ব্রিটেনের নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্র বোরিস জনসন এর মতন প্রীতিকেও তাঁর দক্ষিণপন্থী চিন্তাভাবনার জন্য জানা যায়। আর প্রীতি ব্রিটেনে দক্ষিণপন্থীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। ব্রিটেনে সমলিঙ্গদের বিয়েকে বৈধ ঘোষণা হওয়ার পর প্রীতি শিরোনামে চলে আসেন।
ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থেচার এর আদর্শে আদর্শিত প্রীতি ব্রিটেনের ভারতীয় এবং ভারতীয় মোদী সমর্থকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামারুনের শাসন কালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিটেন সফরে গেছিলেন। আর তখন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামারুন প্রীতি প্যাটেলকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমস্ত দ্বায়িত্ব দিয়েছিলেন। আর এরপর থেকেই প্রীতির জনপ্রিয়তা ভারতীয়দের মধ্যে আরও বেড়ে যায়।
প্রীতি ২০১৬ সালে ইউরিপিয়ান সঙ্ঘ থেকে ব্রিটেনের আলাদা হওয়ার সময় ব্রেক্সিটের সমর্থনে অনেক র্যালি করেছিলেন। ‘সেভ ব্রিটিশ ক্যারি” এর স্লোগান দিয়ে প্রীতি প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মে-এর বিরোধিতা করেছিলেন। এর সাথে সাথে প্রীতি বোরিস জনসনকে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য অনেক সংগ্রাম করেছিলেন। ‘ব্যাক বোরিস” নামের একটি অভিযানও চালিয়েছিলেন তিনি।