আকবরের বুকে পা,গলায় ছোরা দিয়ে দাঁড়িয়ে সাহসী রাজপুত রানীর একটি চিত্র রাজপুত যাদুঘরে প্রদর্শিত হয়েছে।এক বীরঙ্গনা ছিলেন কিরন দেবী। তিনি ছিলেন মহারানা প্রতাপ-এর ভাইজি, শক্তি সিংয়ের কন্যা ও পৃথ্বীরাজ রাঠোরের স্ত্রী।
সেই সময় ভারতের মোঘল আমলে এক মেলার আয়োজন করা হতো শুধুমাত্র মোঘল রাজাদের লালসা চরিতার্থ করার জন্য এবং সেখানে অন্যান্য পুরুষদের যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। পরিকল্পনা মাফিক আকবরের অধীনে সেনা হিসেবে নিযুক্ত থাকা কিরনদেবীর স্বামী পৃথ্বীরাজ রাঠোরকে এক যুদ্ধের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর কিরনদেবীকে মহলে আসার জন্য দূত দ্বারা নিমন্ত্রণ পাঠানো হয়। নিমন্ত্রণ রক্ষার জন্য কিরনদেবী মহলে আসলে তখন তাকে আকবর বলেন যে আমি আপনাকে আমার বেগম হিসেবে রাখতে চাই।
এই কথার জবাবে কিরন দেবী বলেছিলেন যে, আমি একজন বিবাহিত স্ত্রী এবং আপনার প্রজা তাই আপনার উচিত আমাকে খারাপ চোখে দেখার পরিবর্তে আমাকে সুরক্ষা প্রদান করা।
অজানা তথ্যএই বীরঙ্গনা হিন্দু নারীর কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে হয়েছিল মুঘল রাজা আকবরকে। ইংরেজ ও মুঘল আমলে নারীদের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হতো এবং তারা যেন হিন্দু নারীদের শুধুমাত্র সম্পদ বলে মনে করতো। তবে সেই সময় এমন কিছু নারীও ছিলেন যারা কখনো মোঘলদের সামনে মাথা নত করেননি। তেমনই এক বীরঙ্গনা ছিলেন কিরন দেবী। তিনি ছিলেন মহারানা প্রতাপ-এর ভাইজি, শক্তি সিংয়ের কন্যা ও পৃথ্বীরাজ রাঠোরের স্ত্রী।
✍️ Charu Chandra