মেহবুবা মুফতির বোন রুবাইয়ার জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছিল জঙ্গিদের ৷ ঘটনাটা ঘটেছিল ১৯৮৯ সালে তখন ভিপি সিং প্রধানমন্ত্রী৷ আর সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মুফতি এবং রুবাইয়ার বাবা মুফতি মহম্মদ সৈয়দ৷
রাজীব গান্ধী তথা কংগ্রেসকে হারিয়ে সবেমাত্র দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছেন তখন বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং৷ ভিপি মন্ত্রিসভায় দেশের প্রথম মুসলিম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন মুফতি মহম্মদ সৈয়দ ৷ তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই মুফতি মহম্মদ সইদের ছোট মেয়ে রুবাইয়া সইদকে তুলে নিয়ে যায় জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ)। মুক্তি পণ হিসেবে পাঁচ জঙ্গিকে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিল ৷ তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার জঙ্গিদের দেওয়া সব শর্তই তখন মেনে নিয়েছিল৷
সেই সময় জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ওমর আবদ্দুলার বাবা ফারুক আবদুল্লা, যিনি তখন মুফতির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি তখন একেবারেই রাজি ছিলেন না জঙ্গিদের কোনও শর্ত মানার ৷ বিশেষত জম্মু কাশ্মীরের জনপ্রিয় নেতা মুফতি মহম্মদ যেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন সেখানে জনমতের কথা মাথায় রেখে জেকেএলএফ তাঁর মেয়ের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছিল ৷
কিন্তু সেই সময় মুফতির পাশাপাশি তাঁর বড় মেয়ে মেহবুবাও জঙ্গিদের শর্ত মেনে নিয়ে রুবাইয়াকে ছাড়ানোর কথা বলেছিলেন ৷ এমন কি সেই সময় ওই পাঁচ জঙ্গিতে মুক্তি না দিলে রাজ্য সরকারকে বরখাস্ত করা হবে বলে ফারুখ আবদুল্লাকে হুমকি দিয়েছিলেন ভিপি সিং মুফতি মহম্মদেরা ৷ শেষমেষ সব শর্ত মেনেই জঙ্গিদের তড়িঘড়ি মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি মুফতি ও মেহবুবার বার বার নরম মনোভাবের দেখাতে দেখা গিয়েছে ৷ ফলে প্রশ্ন উঠেছে ওই জঙ্গিদের মুক্তি দেওয়ার জন্যই কি এমন অপহণের নাটক করা হয়েছিল ? যদিও মেহবুবা তেমন অভিযোগ বার বারই উড়িয়ে দিয়েছেন অপপ্রচার বলে। তবে এটাও ঘটনা মুক্তি পেলেও রুবাইয়া এখন লোকচক্ষুর অন্তরালেই জীবন কাটাচ্ছেন। তিনি এক প্রকার সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়েই চলেন৷