সামনেই ১৫ আগস্ট, আর তাই সেই দিনটিকেই টার্গেট করছে খালিস্তানীরা। কোনো মতেই হিমাচল প্রদেশে তোলা যাবেনা ভারতের জাতীয় পতাকা, কারণ হিমাচল প্রদেশ নাকি আদতে খালিস্তানের অঙ্গ। ঠিক এই ভাবেই হিমাচল প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর কে হুমকি দিলো তারা।
আমেরিকাস্থিত খালিস্তান পন্থী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs For Justice) এর মুখপাত্র গুরুপাতবন্ত সিংহ পান্নু (Gurpatwant Singh Pannu) জানান ” ব্রিটিশ আমলে হিমাচল প্রদেশ পাঞ্জাব এরই অঙ্গ ছিল এবং যখন খালিস্তান তৈরী হবে ভারত ভাগ করে , আমরা হিমাচল প্রদেশকে খালিস্তানের মধ্যেই নিয়ে নেবো , আর তাই হিমাচলের মূখ্যমন্ত্রীর কোনো অধিকার নেই ১৫ অগাস্ট হিমাচল প্রদেশে ভারতের জাতীয় পতাকা তোলার।”
যদিও এই হুমকি কে কোনো গুরুত্ব দিতে নারাজ হিমাচলের মূখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর।
প্রসঙ্গত , ১৯৬৭ সালেই শিখস ফর জাস্টিস নামক এই খালিস্তানি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার।
ব্রিটিশ আমলে হিমাচল প্রদেশ , রাজস্থান ও হরিয়ানার কিছু অংশ পড়তো পাঞ্জাবের আওতায়। কিন্তু পরে শিখরা শুরু করে পাঞ্জাবি সুবা মুভমেন্ট (Punjabi Suba Movement) , এর উদ্দেশ্যে ছিল একটাই, একটি শিখ সংখ্যাগরিষ্ট রাজ্য।
তাই এর পর শিখদের দাবি মেনেই পুরানো পাঞ্জাব ভেঙে তৈরী হলো পাঞ্জাবের নতুন ভূখণ্ড এবং ওই অংশ থেকে বাদ গেলো রাজস্থান (Rajasthan) , হরিয়ানা (Haryana)ও হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) সেই অংশ গুলি যেগুলি ব্রিটিশ আমল থেকেই পাঞ্জাবের মধ্যে ছিল।
ঠিক এই ভাবেই তৈরী হলো নতুন প্রাদেশিক সীমানা ঠিক যেমনটি আছে এখন।
কিন্তু খালিস্তানীরা এখন চাইছে হিমাচল , হরিয়ানা ও রাজস্থানকেও খালিস্তানের প্রস্তাবিত সীমানার মধ্যে আনতে।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এই মুহূর্তে হিমাচল প্রদেশে শিখদের জনসংখ্যা আনুমানিক ২% , আর যদি আমরা খালিস্তানিদের প্রস্তাবিত সীমানা ধরি , যার মধ্যে হরিয়ানা , হিমাচল প্রদেশ ও রাজস্থান থাকবে , তাহলে সেখানে শিখরাই হবে সংখ্যালঘু কারণ সেইখানে শিখদের জনসংখ্যা ৩০% পার হবে না।
খুব অবাক করার মতো আরেকটি ঘটনা , যেই মুসলিমদের সাথে শিখদের জাত শত্রুতা , যাদের সাথে লড়াই করার জন্য কয়েক শতক আগে তৈরী হয়েছিল শিখ ধর্ম , সেই মুসলিম দেশ পাকিস্তানের এক ইঞ্চি জমিও দাবি করেনি শিখরা। এর কারণ অনুমেয়, লাঠিপেটা করে ভূত ভাগিয়ে দেবে জেহাদিরা।