বেঙ্গালুরুর এই সংস্থাটি একটি প্রেস রিলিজে বলেছে যে এটি কন্নড়, হিন্দি, তেলেগু এবং তামিল ইত্যাদিতে ২০ হাজারেরও বেশি ট্র্যাকের গানে কপিরাইট নিয়ে রেখেছে।
রাহুল গান্ধী, সুপ্রিয়া শ্রীনেট এবং জয়রাম রমেশের বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ শুক্রবার কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ, কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান সুপ্রিয়া শ্রীনেট এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ভারত জোড়ো যাত্রায় এমআরটি মিউজিকের অনুমতি ছাড়াই ফিল্মের গান ব্যবহার করে কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। বেঙ্গালুরুর সঙ্গীত সংস্থা এমআরটি মিউজিক এই মামলা দায়ের করেছে বলে খবর।
বেঙ্গালুরুর এই সংস্থাটি একটি প্রেস রিলিজে বলেছে যে এটি কন্নড়, হিন্দি, তেলেগু এবং তামিল ইত্যাদিতে ২০ হাজারেরও বেশি ট্র্যাকের গানে কপিরাইট নিয়ে রেখেছে। সংস্থাটি সাম্প্রতিক কালেই ক্লাসিক পুরানো সঙ্গীতের ওপর কপিরাইট কেনার জন্য প্রচুর পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। বছরের অন্যতম বড় চলচ্চিত্র “কেজিএফ চ্যাপ্টার ২” -ও রয়েছে এই তালিকায়।
Subscribe to get breaking news alertsSUBSCRIBE
যাইহোক, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস অনুমতি ছাড়াই ফিল্ম থেকে গানগুলি তুলে নিয়েছে এবং MRT মিউজিক থেকে অনুমতি বা লাইসেন্স না নিয়ে রাহুল গান্ধীর তার সাম্প্রতিক ভারত জোড়ো যাত্রা প্রচারের মার্কেটিং ভিডিও তৈরি করতে এই গানগুলিকে ব্যবহার করেছে। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, যশবন্তপুর পুলিশ আইপিসি, তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০ এবং কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ এর প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।
কোম্পানির আইনী উপদেষ্টা বলেছেন যে একটি জাতীয় রাজনৈতিক দলের এই অবৈধ কাজগুলি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দেশে প্রভাব ফেলতে তারা ভারত জোড়ো যাত্রার আয়োজন করেছে। সেখানে এই ধরণের অনৈতিক কাজ মানুষের ওপর কি প্রভাব ফেলবে, তা বলাই বাহুল্য। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পরেই বেঙ্গালুরুর সঙ্গীত সংস্থা এমআরটি মিউজিক কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সুপ্রিয়া শ্রীনাতে এবং জয়রাম রমেশের বিরুদ্ধে মামলা করে।
দলটির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিন কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে, বিশেষ করে, ৪০৩ ধারা (সম্পত্তির অপব্যবহার), ৪৬৫ (জালিয়াতির শাস্তি), ১২০ (কারাবাসের শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার জন্য নকশা গোপন করা) এবং ভারতীয় দন্ডবিধিরর ৩৪ (সাধারণ উদ্দেশ্য), তথ্য প্রযুক্তি আইন,২০০০এর ধারা ৬৬ এবং কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ এর ধারা ৬৩ এর অধীনে মামলা করা হয়েছে।
উল্লিখিত ভিডিওতে “ভারত জোড়ো যাত্রা” নামে একটি লোগোও ব্যবহার করেছে এবং এটি তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে সম্প্রচার করেছে। মামলায় ও অভিযোগে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।