পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে বহু হিন্দু নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য চলে আসে। কারণ ইসলামিক দেশে অমুসলিমদের উপর নির্যাতন তথা জিহাদ চরম পর্যায়ে চলে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে হিন্দুদের হত্যা, জোরপূর্বক ধর্ম পরিবর্তন ইত্যাদি সাধারণ ঘটনা। যার জন্য অনেক হিন্দু ভারতে এসে শরণ নেয়।
পাকিস্তানের সুকুর থেকে এমনই কিছু পরিবার ভারতে এসেছে। কিন্তু ভারতে এসেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এই হিন্দু পরিবারগুলিকে। আসলে ভারতের কিছু রাজনৈতিক পার্টি রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলিমদের নিজের ভোটব্যাঙ্ক মনে করলেও পাকিস্তানি হিন্দুদের ভোটব্যাঙ্ক মনে করে না।
১৪ ই মে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দুরা এখন দিল্লির ছাতরপুর এলাকার ভাটি মাইনসে থাকেন। কিন্তু এই পরিবারগুলির ছেলে মেয়েকে কেজরিওয়ালের নির্দেশে চালিত স্কুলগুলি ভর্তি নিতে রাজি নয়। মুনা কুমারী (১৮ বছর), সানজিনা বাই (১৬ বছর), এবং রবি কুমার (১৭ বছর) এই তিনটি ছেলে মেয়ের পরিবার এখন এদের স্কুলে ভর্তি করার জন্য দুশ্চিন্তায় পড়েছে। কারন কোনো স্কুল এদের ভর্তি নিতে রাজি নয়। এদের নবম ও দশম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পাকিস্তান থেকে স্কুল ছাড়া কার্ডও রয়েছে।
তা সত্ত্বেও স্কুল ভর্তি নিতে রাজি নয়। অনেক নেতা, মন্ত্রীর সাথে কথা বলেও আশ্বাস পাচ্ছে না হিন্দু পরিবারগুলি। লক্ষণীয় বিষয় এই যে, প্ৰথমে ভারতে এসে বাচ্চাগুলি স্কুলে ভর্তি হতে পেরেছিল। ক্লাস করার অনুমতিও পেয়েছিল। কিন্তু কিছু সময় পর স্কুল কর্তৃপক্ষ বয়স বেশি হওয়ার বাহান দিয়ে স্কুল থেকে বহিস্কার করে। বাচ্চার মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে হিন্দু পরিবারগুলি দুশ্চিন্তায় ভুগছে।
স্মরণ করিয়ে দি, এটা সেই দিল্লী যেখানে কেজরিওয়াল সরকার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী মুসলিমদের বিনামূল্যে রেশন, বিদ্যুৎ প্রদান করে বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু এই নয় খ্রিস্টান মিশনারিদের সাথেও কেজরিওয়ালের জড়িত আছে। যে খ্রিস্টান মিশনারীরা হিন্দুদের ধর্ম পরিবর্তন এর জন্য কাজ করে। কিন্তু কেজরিওয়ালের রাজ্যে পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দুরা তাদের প্রাথমিক সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।