ভারতে জেহাদি কার্যকলাপ বাড়ছে। লাভ জেহাদের বলি হচ্ছে হিন্দু তরুণীরা। এই পরিস্থিতিতে হিন্দু মেয়েদের পার্সে লিপস্টিক, চিরুনির বদলে ছুরি রাখার পরামর্শ দিলেন সাধ্বী প্রাচী। পাশাপাশি তিনি ভারতীয় হিন্দু মহিলাদের কট্টর বা গোঁড়া হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকর, নিকি যাদবকে খুন করে তাঁদের মুসলিম প্রেমিক। এই প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের রতলামে সাংবাদিকদেক মুখোমুখি হয়ে প্রাচী বলেন, ‘জেহাদ আটকাতেই হিন্দু মেয়েদের পার্সে চিরুনি এবং লিপস্টিক না রেখে ছুরি রাখা উচিৎ’। তিনি আরও বলেন, ‘সমস্ত ভারতীয় হিন্দু মহিলাদের কট্টর বা গোঁড়া হওয়া উচিত। যেমন মুসলমানরা তাঁদের ধর্ম নিয়ে কট্টর, ঠিক তেমনই।’
জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের প্রধান মওলানা আরশাদ মাদানিকেও হুমকি দিয়েছেন প্রাচী। মাদানির উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘হিন্দু ধর্মের বিষয়ে বিবৃতি দেওয়ার পরিবর্তে নিজের কাগজ (পরিচয়পত্র সংক্রান্ত নথি) খোঁজা শুরু করা উচিত তাঁর। শীঘ্রই ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হয়ে যাবে। সেখানে তাঁদের মতো মানুষের জায়গা হবে না।’ প্রাচী বলেন, ‘মাদানি হিন্দি ধর্মের এ, বি, সি, ডি জানেন না। তা না হলে তিনি বলতেন না যে ওম এবং আল্লাহ একই।’
এর আগে রবিবার এক অনুষ্ঠানে মওলানা আরশাদ মাদানি বলেছিলেন, ‘রাম, ব্রহ্মা বা শিব বলে কিছু নেই। মনু যে কি না আদম, এক ওমের উপাসনা করতেন। সেই ওমই হলেন আল্লাহ।’ তাঁর এই মন্তব্যে বিস্তর বিতর্ক হয়। সেই মন্তব্য প্রসঙ্গে জৈন ধর্মের প্রচারক আচার্য লোকেশ মুনি বলেছিলেন, ‘আমরা কেবল সম্প্রীতিতে জীবনযাপনে একমত। কিন্তু ওম, আল্লাহ এবং মনু সম্পর্কিত এই সমস্ত গল্পই আবর্জনা। মাদানি অধিবেশনের পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দিয়েছেন।’ আচার্যের এই মন্তব্যের প্রশংসা করেন সাধ্বী প্রাচী।