জম্মু কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদকে মূল থেকে উৎখাত করতে দেশের তিনটি প্রধান সংস্থা NIA, ED, IT একটি সংযুক্ত অভিযান শুরু করেছে। এদের একটাই লক্ষ্য যে, এবার যেন জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকেরা বাঁচতে না পারে। সেটা রাজনেতা, আলগাওবাদী, হুরিয়ত অথবা কোন বেসরকারি সংগঠন হোক না কেন তাঁদের কোন মতে রেহাই দেওয়া হবেনা। মদ্দা কথা হল, এবার জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গিদের উপর সহানুভূতি দেখালেই বিপদ। দেশের প্রধান এই তিনটি এজেন্সি বড়সড় অভিযান চালিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এবার জম্মু কাশ্মীরের প্রতিটি আর্থিক সংস্থা এদের নজরে রয়েছে।
আপানদের জানিয়ে রাখি, জম্মু কাশ্মীর সীমান্তে সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে, আর এবার সেটা প্রমাণিত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবার তাঁদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া শুরু করছে, যারা কোনরকম ভাবে সন্ত্রাসীদের সাহায্য দেয়। পাকিস্তানি দূতাবাস জম্মু কাশ্মীরে আলগাওবাদী সংগঠনের মাধ্যমে জঙ্গি গতিবিধি সঞ্চালিত করছে। আর এটা তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ আগেই প্রমাণ করেছে।
তদন্তকারী সংস্থা গুলো অনুযায়ী, আল-উমর-মুজাহিদ্দিন, জইশ-এ-মুহাম্মদ, লস্কর-এ-তইবা আর জামাত-উদ-দাওয়া এর মতো জঙ্গি সংগঠন গুলো কাশ্মীরের মানুষদের ব্রেন ওয়াশ করছে। আলগাওবাদী আর জঙ্গি সংগঠন গুলোর প্রতিনিধিদের কথাবার্তা অডিও-ভিডিও টেপ এর আগেই তদন্তকারী সংস্থা গুলো বের করেছে। ২০১১ সালে এনআইএ জম্মু এন্ড কাশ্মীরের ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছিল। আর সেই সময় ওই ব্যাঙ্কের সাথে বিদেশের অবৈধ লেনদেন হওয়া মামলা সামনে এসেছিল।
তদন্তকারী সংস্থা গুলো সেই সময় বিদেশ থেকে ফান্ডিং করা অনেক সন্ত্রাসবাদী পৃষ্ঠপোষকদের নিশানায় নিয়েছিল। আর এখন তদন্তকারী সংস্থা গুলোর হাতে কিছু এমন তথ্য এসেছে যে, জম্মু কাশ্মীর ব্যাঙ্কের সাথে প্রতক্ষ্য এবং অপ্রতক্ষ্য ভাবে জঙ্গি সংগঠন গুলোর যুক্ত হওয়ার উদাহরণ উঠে আসছে। কিছুদিন আগেই ইডি এই মামলায় জম্মু এন্ড কাশ্মীর ব্যাঙ্কের এক আধিকারিকের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে।