জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর পর্যায়ক্রমে স্কুল-কলেজ খোলার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, বুধবার সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়। এদিন জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা ছিল। অন্যদিকে জনজীবন দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এসেছে উপত্যকায়।
কাশ্মীরে এখন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গতিবিধি কমে গিয়েছে। দেশবিরোধী এবং আজাদির নামে স্লোগানও এখন শোনা যাচ্ছে না। জঙ্গি দমন করার পর যে বিক্ষোভ দেখা যেত, তা এখন নেই। গোটা উপত্যকা এখন একেবারে শান্ত। স্থানীয় নাগরিকরা নিজেদের সন্তানদের জঙ্গি সংগঠনের কাছে ঘেষতে দিচ্ছে না। পর্যটকদের কাশ্মীরের প্রবেশ করার যে নিষেধাজ্ঞা ছিল বৃহস্পতিবার তা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে ফের পর্যটকদের পদধ্বনিতে মুখোরিত হবে কাশ্মীর।
কাশ্মীরের মধ্যে মানুষ এখন যে কোনও জায়গায় যেতে পারবে। সকাল-বিকেল উপত্যকার সমস্ত দোকান খোলা রয়েছে। স্বাভাবিক ছন্দে কাজ করছে সরকারি দফতরগুলি। মান্ডীগুলিতে স্বাভাবিক কাজকর্ম হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে অন্যত্রও ফসল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মানুষ ভীতিহীন অনুভব করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে। প্রশাসনের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে পর্যায়ক্রমে শ্রীনগর সহ জম্মু ও কাশ্মীরে মোবাইল পরিষেবা ফের চালু করা হবে। গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় ল্যান্ড লাইন পরিষেবা স্বাভাবিক ভাবে কাজ করছে। উপত্যকার স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা মোতায়েন রয়েছে।
2019-10-09