ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নয়। জম্মু-কাশ্মীরের ৭০ বছরের শাসন ব্যবস্থা পাল্টে দিতে চাইছে সরকার। সংবিধানের পরিবর্তন করে কিভাবে জম্মু-কাশ্মীরে স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করা যায়, সরকার হয়ত সেই দিকেই এগোচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনটাই মত সেনাবাহিনীর প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার দেবাশিস দাসের। উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি তাদের ইস্তেহারে বলেছিল, বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে জম্মু কাশ্মীর থেকে আর্টিকেল ৩৫এ এবং ৩৭০ তুলে দেওয়া হবে।
এবার জেনে নিন এই আর্টিকেল ৩৫এ ও ৩৭০ কি?
১) ৭০ বছর ধরে জম্বু কাশ্মীরের প্রশাসনই ঠিক করে আসছে কাশ্মীরে কারা বসবাস করতে পারবে ।
২) জম্মু কাশ্মীরের বাইরের ভারতের বাসিন্দাদের সেখানে বসবাস করতে দেওয়া হচ্ছে না।
৩) জম্মু-কাশ্মীরে সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া কেউ জমি, বাড়ি ও হোটেল কিনতে পারবে না।
৪) অ কাশ্মীরি লোক কাশ্মীরে কোনও চাকরি পাবে না।
৫) অন্যান্য
অন্যদিকে এই শাসন ব্যবস্থাকে জিইয়ে রাখতে মদত দিচ্ছে পাকিস্তান, এমনটাই মনে করছেন এই প্রাক্তন এই সেনা কর্তা। বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরে গভর্নর রুল চলছে। ব্রিগেডিয়ার দেবাশীষ দাসের মতে, আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যেই জম্মু কাশ্মীরে ভোট করাতে চাইছে বিজেপি সরকার। জম্মু-কাশ্মীর বলতে জম্মুর দশটা জেলা আর কাশ্মীরে দশটা জেলা ও লাদাখে ২টো জেলা।
এর মধ্যে কাশ্মীরের কয়েকটি জেলাতে এই অশান্তি চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ, পাকিস্তান হুরিয়ত কনফারেন্স ও কিছু রাজনৈতিক দলকে টাকা দিয়ে অশান্তি জিইয়ে রাখছে। যাতে ভারতের কিছু সৈন্য সব সময় জম্মু কাশ্মীরে মোতায়েন থাকে।
তবে এই পরিস্থিতিতে সতর্ক রয়েছে সেনাবাহিনী। যাতে এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান কোনও সুযোগ না নিতে পারে। এদিকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য জারি করা হয়েছে কার্ফু। আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। কোনও জায়গায় জমায়েত দেখলেই প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পড়াশুনা করা পড়ুয়াদের নিরাপদ জায়গায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে গোটা রাজ্যের ইন্টারনেট পরিষেবা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কেবল পরিষেবাও। ফিরিয়ে আনা হয়েছে যুব ক্রিকেটারদেরও।
(মন্তব্য লেখকের নিজস্ব)