এই বিষয়ে বিবিধ বিশ্লেষক এর ভিন্ন মতামত থাকতেই পারে। তবে এই প্রশ্নের উত্তর আছে পাকিস্তানি সেনার জন্মের ইতিহাসের মধ্যেই। ইংরেজদের বিরুদ্ধে সুদীর্ঘ রক্তক্ষয়ী আত্মত্যাগ এবং বলিদানে সমৃদ্ধ স্বাধীনতা আন্দোলনের পর স্বাধীনতার দোরগোরায় এসে নেহেরু এবং জিন্নাহ এই দুই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রীত্ব দখলের লড়াই এর ফলস্বরূপ ভারতবর্ষে ঘটে যায় কলঙ্কময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যার পরিণতি হয় দেশভাগ।
ভারতবর্ষ ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম। দেশভাগের সঙ্গেই আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাজন ঘটেছিল – অবিভক্ত ভারতীয় সামরিক বাহিনীর বিভাজন। পন্ডিত নেহেরু ও অহিংসার পূজারী গান্ধীজির যৌথ সিদ্ধান্তে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় সৈন্যকে ‘সহিংস’ ভাবে অত্যাচারী ইংরেজ শাসকদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হয়। অন্য দেশের জন্য এই যুদ্ধে আমাদের উল্লিখিত দুই মহান নেতার এই রহস্যজনক সিদ্ধান্তের ফলে মর্মান্তিক ভাবে প্রায় সাতাশি হাজার অবিভক্ত ভারতীয় বাহিনীর সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারান। যুদ্ধ শেষে অবশিষ্ট ছিল অবিভক্ত ভারতের প্রায় চার লক্ষ সেনার যুদ্ধ অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ এক বৃহৎ সামরিক বাহিনী। দেশ বিভাজনের সাথেই এই সামরিক বাহিনীর বিভাজন ও হয়ে উঠলো অনিবার্য্য। যদিও আয়তনে ভারত বর্ষ ও অবিভক্ত পাকিস্তানের অনুপাত ছিল প্রায় ৪: ১ কিন্তু সেনার বিভক্তি করণের সময় সেই অনুপাত করা হয় ৬০ : ৪০। এই খানেই সমস্ত সমস্যার সূত্রপাত। বিশদে বলা যাক।
একটা দেশে সেনার ভূমিকা কি : বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিহত করা বা অন্য দেশ কে আক্রমণ করা। ভারতবর্ষের সুদীর্ঘ ইতিহাস ঘাটলেই দেখা যাবে যে এই দেশ কোনোদিন অন্য কোনো দেশ কে নিজে থেকে আক্রমণ করেনি। কিন্তু তাহলে সুবিশাল পাক সামরিক বাহিনী পোষার যথার্থতা কি ? একটু খোঁজ নিলেই দেখা যাবে যে পাক সামরিক বাহিনীর আধিকারিকেরা সে দেশে রাজসিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকেন । দামি গাড়ি, সুবিশাল বাংলো, চাকর বাকর, ফ্রীতে থাকা খাওয়া, মদ, ভর্তুকি যুক্ত বিভিন্ন দামি জিনিসপত্র যেমন ঘড়ি, ক্যামেরা এবং আরো অনেক কিছু , সাথে বিদেশ ভ্রমণ, অবসরের পর এবোতাবাদ (যেখানে বিন লাদেনকে আমেরিকা নিকেশ করেছিল) বা অন্যান্য ভালো জায়গায় বাড়ি ও অন্যান্য আরো অনেক সুবিধে। দেশের সাধারণ মানুষ খেতে পাক কি না পাক, সামরিক বাহিনীর রাজকীয় বৈভব বিলাসে কোনো কমতি পড়ে না। এতো বড় বাহিনীকে চটানো সে দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষেই অসম্ভব এবং দেশটিকে কখনও বকলমে আবার কখনও বা সরাসরি সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সামরিক বাহিনীর নেতারাই শাসন করে এসেছে।
একটা বাহিনী যখন সর্বেসর্বা হয়ে ওঠে , তখন সাধারণ লোকের মধ্যে ধীরে ধীরে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে পারে এবং পরিণতি কোনোদিন সামরিক বাহিনীর বিপক্ষেও যেতে পারে। সুতরাং এই সমস্যার সমাধান হলো একটি যুৎসই শত্রূ খুঁজে বার করা এবং দেশের জনগণকে তা খাওয়ানো। যেহেতু মুসলিমদের সহজেই ধর্মীয় ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দেওয়া যায় ( আরব বিশ্ব তার প্রমাণ ) আর কাশ্মীরের শ্রীনগরে মুসলিমরাই সংখ্যাগুরু অতএব কাশ্মীরকেই সর্বাগ্রে নিশানা করা হলো এবং বাস্তবে হলোও তাই। ভালো মন্দ না বুঝে কিছু মুষ্টিমেয় কিছু কাশ্মীরীর মধ্যে কেবল মাত্র ধর্মীয় কারণে ভারত বিরোধী আন্দোলন দানা বাঁধল। তখনও কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিংহ যিনি ভারতবর্ষে যোগদানের ব্যাপারে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। শুরুতে এই বিরোধ ছিল বিক্ষিপ্ত ভাবে সীমাবদ্ধ। সেই সময় ভারত সরকারের প্রয়োজন ছিল বলিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃত্ব, যেমনটি হায়দ্রাবাদ এবং অন্যান্য রাজত্ব গুলোকে ভারতবর্ষে অন্তর্ভুক্তির সময়ে করে দেখিয়েছিলেন লৌহপুরুষ সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল। কিন্তু ‘পন্ডিত’ নেহেরুর মস্তিষ্কে তখন কি চলছিল কে জানে। যাইহোক ইতিমধ্যে পাকিস্তান ‘পন্ডিত’ নেহেরুর নেতৃত্বের নমুনা দেখে উৎসাহিত হয়ে ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে কাশ্মীর দখল করার অভিপ্রায়ে কাশ্মীর আক্রমণ করে বসল। কিন্তু তারা ভুলে গেছিলো এক অসম সাহসিক পরাক্রমী শক্তির উপস্থিতি। তা হল ভারতীয় সেনা। আক্রমণকারী পাকিস্তানী সৈন্য দেখে মহারাজা হরি সিংহ ‘পন্ডিত’ নেহেরুকে সাহায্য করার জন্য বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নেহেরু ছিলেন আশ্চর্যজনক ভাবে নির্লিপ্ত।
ইতিমধ্যে পাকিস্তানি অত্যাচারী সেনা কাশ্মীরের অনেকাংশ দখল করে দস্যু সুলভ অত্যাচার শুরু করেছে। নিরুপায় মহারাজা হরি সিংহ অবশেষে লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে সাহায্য চেয়ে চিঠি দিলেন এবং ভারতবর্ষে অন্তর্ভুক্তির চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করলেন। অতঃপর ভারতীয় সেনা অসীম বীরত্বের পরিচয় দিয়ে পাকিস্তানি সেনার বিতারণ শুরু করল। পাকিস্তানী সেনা যখন লেজ গুটিয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নরত ঠিক সেই সময়েই হলো বিনা মেঘে বজ্রপাত। একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ‘পন্ডিত’জি চললেন রাষ্ট্রসংঘে। তখনও কাশ্মীরের এক তৃতীয়াংশ পাকিস্তানি সেনার দখলে। এ ছিল পাকিস্তানের কাছে মেঘ না চাইতেই জল। তার পরবর্তী ঘটনা সমূহ আমাদের সবারই মোটামুটি জানা। শুরুহলো দখলীকৃত কাশ্মীর নিয়ে ভারত পাকিস্তানের চির বৈরিতা যা কিনা আসলে পাকিস্তানী সেনার জিয়ন কাঠি। ইতিমধ্যে পাকিস্তানী সেনার হাত আরো শক্ত করার জন্য ‘পন্ডিত’জি এনে দিলেন ধারা ৩৭০ যার সাহায্যে কাশ্মীরি জনগণকে সামনে রেখে কিছু মুষ্টিমেয় পাকিস্তানপন্থী নেতাকে উপত্যকায় অবাধ লুট চালানোর সুযোগ করে দেওয়া হলো। সমস্ত কেন্দ্রীয় অনুদান তিনটি পরিবার এবং তাদের অনুচররা লুটেপুটে খেতে শুরু করল। ফলস্বরূপ সাধারণ জনগণ চরম দুর্দশার মধ্যে দিন গুজরান করতে লাগল আর ক্রমেই উপত্যকায় নামতে লাগলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শাসনের মান ও পরিমাণ।
পাকিস্তান ঠিক এইটিই চাইছিলো। সমস্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতৃবৃন্দের ছেলেমেয়েরা লুটের পয়সায় বিদেশে পড়াশুনো শুরু করল আর উপত্যকায় জ্বালিয়ে দেওয়া হতে থাকল স্কুল গুলোকে। ইতিমধ্যে উৎসাহী পাকিস্তান জেনারেল আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১৯৬৫ সালে অপারেশন জিব্রাল্টার নামে ভারত আক্রমণ করে বসল। দিল্লির মসনদে তখন গান্ধী পরিবারের বাইরের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। ভারতীয় সেনার প্রবল বীরত্বের সামনে পাকিস্তানের আক্রমণ খড়কুটোর মতো উড়ে যেতে লাগল। পাকিস্তান যেখানে রাজস্থান আর গুজরাটের জনমানব হীন মরুভূমির প্রায় ৫৫০ বর্গকিমি দখল করেছিল সেখানে ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের উর্বর এবং গুরুত্বপূর্ণ শিয়ালকোট, লাহোর ইত্যাদি জায়গার প্রায় ১৯০০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জয় করে ফেলেছে। গোটা দেশ তখন ভারতীয় সেনা ও শাস্ত্রীজির জয়গান গাইছে। আক্রমণকারী পাকিস্তান তখন রাষ্ট্রসংঘের কাছে বাঁচার আর্জি নিয়ে হাজির হলো। রাষ্ট্রসঙ্ঘ যুদ্ধবিরতির রিজোলিউশন বার করলো। এর মধ্যে রহস্যজনক ভাবে মারা গেলেন শাস্ত্রীজি যার রহস্য আজ উদ়্ঘাটিত হয়নি। ফলতঃ যুদ্ধে পাকিস্তান পর্যুদস্ত হলেও সব কিছু ফিরিয়ে দেওয়া হলো। কাপুরুষ পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী আজও দেশের জনগণকে বোকা বানাতে তাদের পরাজয়কে অর্থাৎ ৬ই সেপ্টেম্বর,১৯৬৫ কে স্মরণ করে তাদের সেনাদিবস হিসেবে পালন করে যা অতীব নির্লজ্জ ভাবে হাস্যকর আর একই সাথে পাকিস্তানী জনগণের নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক ও বটে।
এরপর এলো ১৯৭১ সাল। বস্তুত ১৯৭১ এর যুদ্ধ বাস্তবিক ভাবেই ছিল সেনাপতি জেনারেল স্যাম মানেকশা র নেতৃত্বে ভারতীয় বাহিনীর এক অসামান্য বীরগাথা। পাকিস্তান কেবল যুদ্ধে পর্যুদস্তই হলোনা, বিশ্বের ইতিহাসে সর্বাধিক ( প্রায় তিরানব্বই হাজার ) সেনার আত্মসমর্পনের (জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে) এক বিরল অপমানজনক কীর্তিমান স্থাপন করে ফেললো এবং দেশটি পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেলো। এই সমস্ত যুদ্ধের বিবিধ দিক নিয়ে আলোচনা করে আজকের বিষয়কে দীর্ঘায়িত না করাই শ্রেয়। যাইহোক কিছু দিনের জন্য পাকিস্তান বুঝে গেলো যে ভারত বর্ষকে আর সরাসরি যুদ্ধে হারানো তাদের সাধ্যাতীত। এর পর পাকিস্তান শুরু করলো ৩৭০ ধারাকে ঢাল বানিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানো এবং বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সাহায্যে এই জঙ্গিদের দিয়ে বিবিধ নাশকতা মূলক কাজকর্ম ঘটানো। পরিকল্পিত ভাবে কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে ইসলামিক চিন্তাভাবনা প্রতিস্থাপিত করা হলো। কাশ্মীরে কর্মরত বিভিন্ন ভারতীয় আধিকারিকদের হত্যা করা হলো, কাশ্মীরি পন্ডিতদের ২৪ ঘন্টার নোটিশে কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য করা হল, নির্বিচারে কাশ্মীরি পন্ডিত ও উপত্যকার বিভিন্ন সমাজসেবীদের হত্যা, ধর্ষণ , সম্পত্তি লুঠ করা হলো।
কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে শিক্ষার অভাব ঘটানো হলো, বহু স্কুল জ্বালিয়ে দেওয়া হলো। শুধু তাই নয়, মেহেবুবা মুফতির পণবন্দির নাটক করে কুখ্যাত জঙ্গিদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল। তিনটি পরিবারের লুটতরাজ এর কল্যানে সাধারণ মানুষ এমনিতেই কষ্টে দিন গুজরান করছিলো। এরপর এই জঙ্গি কার্যকলাপ আঘাত হানলো কাশ্মীরের জনগণের শেষ সম্বল পর্যটন শিল্পেও। আর এই সুযোগে সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করা বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা পাকিস্তানের মদতে হত দরিদ্র, অশিক্ষিত ও ধর্মান্ধ কাশ্মীরিদের ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিবিধ হিংসাত্মক আন্দোলনএ নামাতে সক্ষম হলো। সাথে চললো পাকিস্তান দ্বারা প্রশিক্ষণ জঙ্গিদের নাশকতা মূলক কাজকর্ম এবং অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরকের যোগান।
ফলস্বরূপ বাস্তবিকই কাশ্মীর নব্বই এর দশকের শেষ থেকে বারুদের স্তুপে পরিনত হয়েছিল এবং বাধ্য হয়েই কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার উপস্থিতি বৃদ্ধি করা হল। এরপর পাকিস্তানি সেনা তাদের জেনারেল পারভেজ মুশারফের পরিকল্পনায় কাশ্মীর দখল করার অভিপ্রায়ে ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সূচনা করে এবং লজ্জাজনক ভাবে ভারতীয় সেনার কাছে পুনরায় পর্যুদস্ত হয়। কার্গিল যুদ্ধ হয়েছিল ঠিক এমন একটা সময় যখন শ্রদ্ধেয় শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী লাহোর বাস পরিষেবার সূচনা করেছিলেন। এই সময় তাকে বেছে নেবার কারণ সেই এক : যাতে পাকিস্তানী সেনা অপ্রাসঙ্গিক না হয়ে পরে। মাঝে মধ্যেই পাকিস্তানি সেনার বড় বড় ভাষণ দেয় যে ‘পাকিস্তানী সেনা হলো বিশ্বের সেরা বাহিনী’!!!!! এমন সেরা তাদের বাহিনী যে তারা আজ পর্যন্ত চার বার পার্শ্ববর্তী দেশকে আক্রমণ করেছে এবং চার বারই পরাজিত হয়েছে। অর্থাৎ কিনা কোনো যুদ্ধে না জিতেই বরং চার চার বার যুদ্ধে হেরে তারা বিশ্বের সেরা বাহিনী !!!!!! কি খোরাক !! আজ ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সীমানা হলো ৩৩২৩ কিমি আর ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সীমানা হলো ৪১৫৬ কিমি। দুটোই মুসলিম রাষ্ট্র। অথচ দেখুন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে লোকসংখ্যা প্রায় সাড়ে বারো লক্ষ আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা হলো মাত্র দেড় লক্ষেরও কম। অর্থাৎ বাংলাদেশ যেখানে তাদের অর্থ খরচ করছে জনগণের জন্য সেখানে পাকিস্তান তাদের বাজেটের সুবিশাল অংশ ( প্রায় দশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ) খরচ করছে অপ্রয়োজনীয় সুবিশাল সেনার রাজসিক বিলাসের জন্য। ফলতঃ সেই দেশের নাগরিকেরা তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক অধিকার থেকে ক্রমাগত বঞ্চিত থেকেই যাচ্ছে। গোটা দেশেই বাড়ছে ইসলামিক উগ্রবাদ, চলছে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপ।
সবই চলছে পাক বাহিনীর প্রতক্ষ্য মদতে। আবার সেই দেশেরই প্রধান মন্ত্রী ভিক্ষার বাটি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুদান ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে । গোটা বিশ্বে পাকিস্তানী সেনাই বোধহয় একমাত্র সেনাবাহিনী যারা কিনা বিবিধ ব্যবসা যেমন ডেয়ারি, সিমেন্ট, গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানী, জামা কাপড়, চিনিকল, শস্য বীজ, সার, রেস্টুরেন্ট, ও আরো অন্যান্য ব্যবসা মায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসাও চালায়। ভাবতে পারেন ???? আসলে প্রত্যেক দেশের এ নিজস্ব সেনা থাকে। কিন্তু পাকিস্তানী সেনার ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো। সেনা চালানোর জন্যে এদের আছে একটা দেশ এবং এদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখার জন্য এরা ভারতের মতো এক শান্তিপ্রিয় দেশকে খুঁচিয়ে চলেছে সেই ১৯৪৭ সাল থেকে। পাকিস্তানি সেনার আশীর্বাদ না পেলে কোনো রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করতে পারেনা সেই দেশে। আজকের ইমরান খান তো জিতেই এসেছেন পাকিস্তানি সেনার প্রত্যক্ষ মদতে।
আজ যখন ধারা ৩৭০ কে বিলুপ্ত করে নরেন্দ্র মোদী সরকার এই কাশ্মীর সমস্যার এক দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের দিকে যাচ্ছে তাতে প্রমাদ গুনছে পাকিস্তানী সেনা। অপ্রাসঙ্গিক হবার ভয়ে আজ তারা দিশাহীন। তবে কুকুরের লেজ যেমন কোনোদিন সোজা হয়না তেমনই পাকিস্তানী সেনা যে চুপ করে বসে থাকবেন তা বলে বাহুল্য।এরা নিশ্চিত কোনো না কোনো গন্ডগোল বাঁধাবে। হাতের পুতুল ইমরান খানের গলায় তাই আজ নিতান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েও এত বিকারগ্রস্ত হতাশার বহিঃপ্রকাশ। তবে প্রতিবারের ন্যায় এবারেও তৈরী আছে আমাদের গর্ব ভারতীয় সেনা। সঙ্গে রয়েছে মোদী অমিত শাহ এর জুটির বলিষ্ঠ জাতীয়তাবাদী নেতৃত্ব। এখন আমাদের সাধারণ জনগণের দরকার একটু ধৈর্য ধরা এবং গেলো গেলো রব করে যারা আসলে পাকিস্তানী সেনার হয়ে গলা ফাটাচ্ছে তাদের মুখোশ খুলে দিয়ে প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরা।