নিজেদের দেশের অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে নজর ঘোরানোর জন্য কার্গিল আক্রমণ করেছিল পাকিস্তান বলে মান কি বাত অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
রবিবার মন কি বাত এর ৬৭ তম পর্বে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আজ দেশজুড়ে কার্গিল বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। ২১ বছর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনী কার্গিল যুদ্ধে জয়লাভ করেছিল। যে পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে এই যুদ্ধ লড়া হয়েছিল, তা কোনদিন ভারত ভুলে যাবে না।নিজেদের দেশের অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে নজর ঘোরানোর জন্য ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করার অশুভ চক্রান্ত কষে ছিল পাকিস্তান।ভারত সেই সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা রাখতে চেয়েছিল।কিন্তু কথায় বলে দুষ্টুরা কোন রকম যুক্তি ছাড়াই সকলের সঙ্গে শত্রুতা জারি রাখে।ভাল সময়ও এমন ধরণের লোকেরা নেতিবাচক ভাবনার বশবর্তী হয়। পাকিস্তানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনেকটা এ রকমই। তাইতো ভারত যখন বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তখন পিঠে ছুরি মেরেছে পাকিস্তান। কিন্তু গোটা বিশ্ব সাক্ষী থেকেছে ভারতীয়দের সাহসিকতা এবং শক্তির। যুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন শত্রুপক্ষ পাহাড়ের ওপরে বসে ছিল। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুউচ্চ মনোবল এবং সত্যের প্রতি অবিচলতা পাহাড়ের দুর্গম শৃঙ্গকেও স্বচ্ছন্দে জয়লাভ করেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২৬ জুলাই ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে জয়লাভ করে ভারত। সেনাবাহিনীর বীরত্ব এবং মনোবল সেই সময়ের সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব।১৯৯৮ সালে বাসে করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী লাহোর যাত্রার এক বছর পরেই এই যুদ্ধ বেধে ছিল।
ভারত যখন পাকিস্তানের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়াচ্ছে। ঠিক সেই সময় ভারতের পিঠে ছুরি মেরে ছিল পাকিস্তান। যুদ্ধ চলাকালীন নওয়াজ শরীফ তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সহায়তা চেয়ে ছিলেন।কিন্তু কোন লাভ হয়নি। যুদ্ধের শেষে পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে।ক্ষমতাচ্যুত হন নওয়াজ শরীফ।পাকিস্তানের সর্বাধিনায়ক রূপে আত্মপ্রকাশ হয় জেনারেল পারভেজ মুশারফের।সেই সময়ের এক সাক্ষাৎকারে পারভেজ মুশারফ মেনে নিয়েছিলেন যে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। তার এই বক্তব্যের পরেই উপমহাদেশ সহ গোটা বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কার্গিল এর যুদ্ধ ৫০ দিন ধরে চলেছিল। সেনাবাহিনী ছাড়াও বায়ু সেনাকে এই যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। এই যুদ্ধে ভারতীয় সামরিক বাহিনী অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র এবং রণনীতি অবলম্বন করেছিল যা উপমহাদেশীয় যুদ্ধে যুগান্তকারী হিসেবে প্রতিপন্ন হয়েছে।